Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমার এক নিকটাত্মীয় মদ-গাঁজা সেবন করত। স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময়মই ঝগড়া হতো, স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে অনেক সময় হাত তুলত। স্ত্রীও খুব বেশী একটা ছাড় দিত না। আবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য পুরুষের সাথে দীর্ঘ দিন রাতে-বিরাতে গোপন ফোনালাপের অভিযোগ ছিল। তাদের দুই ছেলে আছে। স্বামী তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্টে ১৫-১৮ লাখ টাকার সম্পদ রেখেছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে সেগুলো হাত করে নেয় এবং নেশাখোর স্বামীর সংসার করবেনা বলে জানায়। এ অবস্থায় কয়েকটি ব্যর্থ আলোচনা বা বৈঠক হয়। প্রায় এক বছরের বেশী সময় পর স্ত্রী ওই স্বামীকে এক উকিলের মাধ্যমে ডাকযোগে ডিভোর্সলেটার পাঠায়। স্বামী বলে সে ওই লেটার রিসিভ ও সাইন করেনি। এর প্রায় এক বছর পর তার স্ত্রী ওই গোপন ফোনালাপের অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই বিয়ে করে। প্রশ্ন হলো স্ত্রীর এ তালাক ও পরবর্তী বিয়ে ইসলামের বিধান মতে সঠিক ভাবে হয়েছে কি না? আর না হলে এখন করনীয় কি?

মো. শাহ আলম
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪৮ পিএম

উত্তর : দেশের আইন অনুযায়ী এই তালাক হয়ে গেছে। পরবর্তী বিবাহও শুদ্ধ হয়েছে। আগে যেই ফোনালাপ বা দেখা সাক্ষাৎ করতো, একথাটি প্রমাণ করার জন্য শরীয়তসম্মত পদ্ধতিতে যথেষ্ট রশদ সাবেক স্বামীর হাতে নেই। তাদের মিল ছিল না কি অমিল এর সাথে মাসআলার কোনো সম্পর্ক নেই। এই স্ত্রীর নামে বা তাকে নমিনি করে টাকা রেখে আগের স্বামী মারাত্মক ভুল করেছেন, এই ভুলের কোনো সংশোধন নেই। তবে, তিনি ইচ্ছা করলে আইনের আশ্রয় নিয়ে দেখতে পারেন। যদিও শরীয়তের নিয়ম অনুযায়ী তাদের এই বিবাহ বিচ্ছেদ বা পরবর্তী নতুন বিবাহ সঠিক হয়েছে কি না, এই প্রশ্ন থেকেই যায়। তথাপি বিবাহ নিবন্ধন আইনে ১৭-১৮ কলাম অনুযায়ী একটি দোষ দেখিয়ে স্বামীর পক্ষ থেকে নিজের ওপর তালাক প্রদানের পদ্ধতি আমাদের দেশে আছে। এটির ব্যবহার করে স্ত্রী তালাক দিয়ে থাকলে এই তালাকও শুদ্ধ হবে। পরবর্তী বিবাহও শুদ্ধ হবে। টাকার জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়া এবং এই টাকা স্ত্রীকে দেওয়া হয়নি, বরং শুধু তার নামে রাখা হয়েছিল, এই কথা কোর্টে প্রমাণ করার চেষ্টা পূর্বের স্বামী করতে পারে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

 

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • Ashraful Alam ২২ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:০০ পিএম says : 0
    আপনি দেশের আইনের পাশাপাশি শরিয়তের আইনটি স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে পারতেন
    Total Reply(0) Reply
  • আশরাফুল ২২ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪০ পিএম says : 0
    আপনার কাছে ফতোয়া জানতে চেয়েছে আর আপনি দেশের আইনে বৈধ হয়েছে এটা বললেন। দেশের আইনে লাইসেন্স থাকলে মদের ব্যবসা, মদ খাওয়া, পতিতালয় প্রতিষ্ঠা, পতিতাবৃত্তি ইত্যাদি দেশের আইনে বৈধ হলেও ইসলামি আইনে হারাম। অনুরূপ এই বিয়ে দেশের আইনে বৈধ হলেও তালাক এবং বিয়ে দুইটাই ইসলামি আইনে অবৈধ। ক্লিয়ার করে না বলতে পারলে এইসব প্রশ্নের উত্তর দেবেন না। ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মদ-গাঁজা সেবন

২২ জানুয়ারি, ২০২২
আমার এক নিকটাত্মীয় মদ-গাঁজা সেবন করত। স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময়মই ঝগড়া হতো, স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে অনেক সময় হাত তুলত। স্ত্রীও খুব বেশী একটা ছাড় দিত না। আবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য পুরুষের সাথে দীর্ঘ দিন রাতে-বিরাতে গোপন ফোনালাপের অভিযোগ ছিল। তাদের দুই ছেলে আছে। স্বামী তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্টে ১৫-১৮ লাখ টাকার সম্পদ রেখেছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে সেগুলো হাত করে নেয় এবং নেশাখোর স্বামীর সংসার করবেনা বলে জানায়। এ অবস্থায় কয়েকটি ব্যর্থ আলোচনা বা বৈঠক হয়। প্রায় এক বছরের বেশী সময় পর স্ত্রী ওই স্বামীকে এক উকিলের মাধ্যমে ডাকযোগে ডিভোর্সলেটার পাঠায়। স্বামী বলে সে ওই লেটার রিসিভ ও সাইন করেনি। এর প্রায় এক বছর পর তার স্ত্রী ওই গোপন ফোনালাপের অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই বিয়ে করে। প্রশ্ন হলো স্ত্রীর এ তালাক ও পরবর্তী বিয়ে ইসলামের বিধান মতে সঠিক ভাবে হয়েছে কি না? আর না হলে এখন করনীয় কি?
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ