পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শাহীন রেজা রুবেল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত পুলিশের তৎকালীন এসআই হায়াতুল ইসলাম ঠাকুর রায় পুনবিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন।
আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ননী নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ আবেদনটির শুনানি ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্র রুবেলকে ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই এসআই হায়াতুল ইসলাম ঠাকুরের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম আটক করে। ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় রুবেলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সারা দেশে হরতাল পালিত হয়। ঘটনার পর দায়েরকৃত মামলায় ২০০২ সালের ১৭ জুন এসি আকরামসহ ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে সোর্স মুকুলি বেগমকে এক বছরের কারাদÐ দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০২ সালে হাইকোর্টে আপিল করে আসামিপক্ষ। শুনানি শেষে হাইকোর্ট এসি আকরাম, মুকুলি বেগমসহ ১৩ আসামিকে খালাস দেন। কিন্তু সাজা বহাল রাখেন হায়াতুল ইসলামের। ২০১১ সালের ৯ মে কারাগার থেকে মুক্তি পান এসি আকরাম। খালাসপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, আমিনুল ইসলাম, আমীর আহমেদ তারেক, নূরুল আলম, আবদুল করিম, নূরুজ্জামান, রাতুল পারভেজ, মীর ফারুক, মংশেওয়েন, আবুল কালাম আজাদ, কামরুল হাসান, জাকির হোসেন ও মুকুলি বেগম। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ আপিল করে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট এসি আকরামকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ তৎকালীন ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আকরাম হোসেনসহ ১৩ আসামির খালাসের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তবে আপিল খারিজ করে এসআই হায়াতুল ইসলাম ঠাকুরের যাবজ্জীবন কারাদÐ বহাল রাখা হয়। এ প্রেক্ষাপটে হায়াতুল ইসলাম রিভিউ আবেদন করেন। আসামিদের মধ্যে গত বছর ১৬ জুলাই মারা যান এসি আকরাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।