পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শহীদ আসাদ দিবসে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বহির্বিভাগ সংলগ্ন শহীদ আসাদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ৯০’র ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মনিসহ সাবেক ছাত্রনেতারা আসাদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ কেন্দ্রীয়, ঢাবি শাখা ও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে ছাত্রদল। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাবি শাখা ছাত্রদলের আহŸায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমানসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা শহীদ আসাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়াও পাঠ করেন ।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে আসাদের স্মৃতিস্তম্বে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ২০ দলীয় জোট শীর্ষ নেতা ও জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, দেশে যখন গণতন্ত্র হত্যার আয়োজন চলছে তখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ আসাদ অনুপ্রেরনার উৎস। তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক। গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে শহীদ আসাদের এ অসামান্য অবদান দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ১১ দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে জীবন দেন ছাত্রনেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আসাদুজ্জামান। আসাদ শহীদ হওয়ার পর ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথে। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আইয়ুব খানের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।