পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণপরিবহন শ্রমিকদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে মহাখালীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে এই কার্যক্রম শুরু হয়। টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই সবাইকে আমরা টিকার আওতায় আনবো। এ পর্যন্ত ৯০০ জনের তালিকা পেয়েছি। আমাদের টিকার কোনও সঙ্কট নেই। তিনি সবাইকে করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দ্রুত টিকা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
জানা যায়, সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এতে বলা হয়েছে, গণপরিবহন ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেবাপ্রার্থীদের টিকা সনদ নিয়ে যেতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত গণপরিবহনের কত শতাংশ কর্মী টিকা নিয়েছেন, সেই পরিসংখ্যানই সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই। এ অবস্থায় এই খাতের যারা টিকা নেননি তাদের অগ্রাধিকারের আওতায় এনে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতে, সড়ক পরিবহন খাতে শ্রমিক প্রায় ৫০ লাখ। এর সঙ্গে যানবাহন মেরামতসহ নানা কাজে যুক্ত শ্রমিক আছেন আরও প্রায় ২০ লাখ। সব মিলিয়ে বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, নছিমন, করিমনের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। এর মধ্যে শুধু যাত্রীবাহী বাসের শ্রমিকের সংখ্যা ১০ লাখের মতো।
দেশে ২০২০ সালে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে। এসময় টানা ৬৮ দিন গণপরিবহন বন্ধ ছিল। পরে ওই বছরের ১ জুন অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে বাস চালু হয়। তখন ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। পরে মালিকদের দাবিতে ২০২০ সালে সেপ্টেম্বরে যত সিট তত যাত্রী নিয়মে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে। ডিজেলের দাম লিটারে এক লাফে ১৫ টাকা বেড়ে গেলে গত ৮ নভেম্বর বাসের ভাড়া ২৭ থেকে ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়।
এদিকে, গণপরিবহন চালক-শ্রমিকদের মহাখালীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে টিকা দেয়া হচ্ছে। তবে যাদের এনআইডি কার্ড নেই, তারা জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়ে টিকা নিতে পারবেন। ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ঝুমানা আশরাফি এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এনআইডি না থাকলেও জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা দেয়া হচ্ছে। বিআরটিএ ও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশের পরিবহণ চালক-শ্রমিকদের এ টিকা দেয়া হবে। বাস টার্মিনালে আমরা টিকা দিচ্ছি। আসলে এখানে টিকা দেয়ার পরিবেশ নয়। মূলত গণপরিবহন শ্রমিকদের টিকাদান কর্মসূচি এখানে শুরু করেছি। এর পর নিকটবর্তী কোনো করোনা টিকাদান কেন্দ্রে এ টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আপাতত ১০০ জনকে টিকা দিয়ে এই ক্যাম্পেইন শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে পরিবহণ শ্রমিকদের তালিকা নেয়া হবে। এরপর সবাইকে টিকা দেয়া হবে। মহাখালী বাস টার্মিনালে পরিবহণ শ্রমিকদের তেজগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে পরিবহণ চালক-শ্রমিকদের জন্য টিকাদানে একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, তালিকা তৈরির পর বুধবার থেকে টিকাদান শুরু হয়। অবশ্য পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনও না পাওয়ায় শুধু ক্যাম্পেইন শুরুর জন্য ১০০ জনকে টিকা দেয়া হয়। রাজধানীর পাশাপাশি এই কার্যক্রম সারা দেশেই করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত সপ্তাহে পরিবহণ মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিআরটিএ কর্মকর্তারা। সেখানে পরিবহণ মালিকরা জানান, তাদের চালক ও শ্রমিকদের ৮০ শতাংশের বেশি এখনও টিকার আওয়াত আসেননি। তাদের জন্য টার্মিনালগুলোতেই টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান তারা।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।