পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার সময় লকডাউনে ঢাকা শহরের পরিবহন, দোকান-পাট ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে চাকরি হারিয়েছেন ৮৭ শতাংশ শ্রমিক। চাকরি হারানো শ্রমিকদের ৭ শতাংশ এখনো বেকার এবং গড়ে ৮ শতাংশ আয় কমেছে তাদের। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) ‘ঢাকা শহরের পরিবহন, দোকান-পাট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতের শ্রমিকদের ওপর সাম্প্রতিক লকডাউনের প্রভাব নিরূপন’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ধানমন্ডির বিলস সেমিনার হলে আয়োজিত গবেষণা ফলাফল নিয়ে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন বিলস উপ-পরিচালক (গবেষণা) মো মনিরুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল হক আমিন, পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ, নাজমা ইয়াসমীন প্রমুখ।
গবেষণায় দেখা গেছে, লকডাউনে (২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত) চাকরি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৮৭ শতাংশ শ্রমিক। সবচেয়ে বেশি পরিবহন শ্রমিকদের ৯৫ শতাংশ, দোকান শ্রমিকদের ৮৩ শতাংশ ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতের শ্রমিকদের ৮২ শতাংশ কর্মসংস্থান হারান। লকডাউন পরবর্তী সময়ে ৯৩ শতাংশ শ্রমিক চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছেন, ৭ শতাংশ শ্রমিক এখনও বেকার রয়েছেন। তবে লকডাউন সময়ে এসব খাতে খণ্ডকালীন শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বেড়েছিল ২১৫ শতাংশ। অন্যদিকে লকডাউনে তিন খাতে কার্যদিবস কমেছিল ৭৩ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৯২ শতাংশ কার্যদিবস কমেছে পরিবহন খাতে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে অবশ্য কাজের চাপ বেড়েছে, কার্যদিবস ও কর্মঘণ্টা আগের তুলনায় বেড়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, লকডাউনে এ তিন খাতের শ্রমিকদের আয় গড়ে ৮১ শতাংশ কমেছে। সবচেয়ে বেশি ৯৬ শতাংশ আয় কমেছে পরিবহন শ্রমিকদের এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের কমেছে ৮৩ শতাংশ। যেখানে লকডাউনের আগে মাসিক গড় আয় ছিল ১৩ হাজার ৫৭৮ টাকা সেটা লকডাউনের সময় নেমেছিল ২ হাজার ৫২৪ টাকায়। লকডাউন পরবর্তী সময়ে আয় দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫২৯ টাকায়। অর্থাৎ লকডাউন পরবর্তী সময়েও ৮ শতাংশ আয়ের ঘাটতি থাকছে। লকডাউনে শ্রমিকদের পরিবারে আয় ও ব্যয়ের ঘাটতি ছিল প্রায় ৭৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ পরিবহন খাতের এবং সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ রয়েছে খুচরা দোকান বিক্রেতা খাতের শ্রমিক পরিবারের। ২০ শতাংশ শ্রমিক পরিবার সম্পত্তি বিক্রয়, খাবার কমিয়ে দেওয়া ও সন্তানদের কাজে পাঠানোর মাধ্যমে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করেছেন। ৮০ শতাংশ শ্রমিকদের পরিবার ধার করে ও সঞ্চয় কমিয়ে ব্যয় নির্বাহ করছেন। লকাডাউন পরবর্তী সময়ে সঞ্চয় কমেছে ৬৪ শতাংশ ও সঞ্চয়কারীর সংখ্যা কমেছে ৫০ শতাংশ।
এতদ্ব্যতিত লকডাউনে উল্লেখিত তিনটি খাতের শ্রমিকদের মাত্র এক শতাংশেরও নিচে সরকারি বিভিন্ন সহায়তা পেয়েছেন। তারমধ্যে রয়েছে কম মূল্যে খাদ্য সহায়তা ও নগদ টাকা। গবেষণা অনুযায়ী, ৩৬ শতাংশ শ্রমিক করোনার টিকা নিয়েছেন ও ৬৪ শতাংশ শ্রমিক এখনো টিকার আওতার বাইরে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।