পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অতিমাত্রায় তাপমাত্রা বৃদ্ধিই বর্তমান বিশ্বের প্রধান সমস্যা। এর ফলে ব্যাপকভাবে বেড়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে এটা ঘটছে। তবে, তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেধে রাখতে না পারলে ২৫০০ সালের মধ্যে বিশ্ব হবে বসবাসের অযোগ্য। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবহিত করা হয়। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা সিভিএফ (ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম) দেশগুলোর জন্য আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে। এটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পথ দেখাবে। এই পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবো বলে জানিয়েছে সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি)। পৃথিবীকে বাঁচাতে ও পরিবেশ দূষণরোধে বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করবে ক্লাইমেট স্মার্ট পিপিপি।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপি) ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্কোপ অব ক্লাইমেট স্মার্ট পিপিপি ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড পোস্ট কপ২৬ ডিসকাশন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়। জলবায়ুর ক্ষতি করে না এমন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে পিপিপি’র উদ্যোগে। সরকারের আওতায় কোন সংস্থা বা বিভাগ এই প্রথম এমন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এই ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বের প্রতিটি দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে। ফরহাদ হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বসবাসযোগ্য সুন্দর বিশ্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য প্রতিটি দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি এ সময় পরিবেশ দূষণ রোধে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং টেকসই ও দূষণবিহীন যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)-সচিব সুলতানা আফরোজ বলেন, পিপিপি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যেখান থেকে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। জলবায়ুর ক্ষতি করে না এমন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে পিপিপি’র উদ্যোগে। এটা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। কপ-২৬ সম্মেলনে পিপিপি সাইড ইভেন্ট করেছে।
তিনি বলেন, আমরা মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবো। যার মাধ্যমে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার বিষয়টি বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায় পিপিপি। এই কাজকে এগিয়ে নেবে ক্লাইমেট স্মার্ট পিপিপি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকশন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. সলিমুল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।