Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে বরিশাল জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা

তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

 নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী। এ ঘটনায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যে বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে গত সোমবার রাতে কালেক্টরেট সহকারি সমিতির নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে সদস্যদের নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোবাইল ফোন) লুৎফুর হায়দার লেলিনের পক্ষে ভোট চেয়ে সভা করেন তারা। কালেক্টরেট সহকারি সমিতির একাধিক সদস্য জানান, সভায় প্রধান বক্ত্যা হিসেবে উপস্থিত থেকে সংগঠনের নোয়াখালীর সদস্যদের ব্রিফিং করেন, বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখার উচ্চমান সহকারি ও বরিশাল কালেক্টরেট সহকারি সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান। এতে বরিশাল জেলা প্রশাসকের চতুর্থ শ্রেণির চার সদস্য উপস্থিত ছিল। এ সময় মাহফুজুর রহমান নোয়াখালী পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী লেলিনের পক্ষে ভোট করার জন্য নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের আহŸান জানিয়ে কিভাবে প্রচারণা করবে তার দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখার উচ্চমান সহকারি মাহফুজুর রহমান বলেন, ভোট চাইতে নয়, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘুরতে এসেছেন তারা। জেলা শহর থেকে সুবর্ণচর দূর বলায় আর ওইদিকে যায়নি। পরে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা হলে কয়েকজনকে অনুরোধ করেছেন বলেও স্বীকার করেন তিনি। নোয়াখালী জেলা আ. লীগের আহবায়ক খায়রুল আনম সেলিম বলেন, জেলা প্রশাসক কিভাবে তার অধিনস্থ কর্মচারীদের অন্য জেলায় পাঠায় নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করার জন্য। সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন নিন্দনিয় কাজ কেউ আশা করে না। নির্বাচনী আচরণবিধি এমন কাজের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দার বলেন, আমি ও সদর উপজেলার নির্বাহী কমকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) হাফিজুল হক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমৃত দেবনাথসহ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এতে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে মোবাইল প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেলিন। তিনি বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার লিপুর ছোট ভাই। আগামী ১৬ জানুয়ারি নোয়াখালী পৌরসভায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ