পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে ইতোমধ্যেই করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে ৩০ জন শনাক্ত হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আবারও করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়েছে। কিন্তু বিধিনিষেধের পরও সেই অর্থে সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি উপক্ষিত।
রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করা গণপরিবহনগুলোতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে তোলা হচ্ছে যাত্রীদের। সঙ্গে চালক-সহকারী এবং বাসে ওঠা যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার নিয়েও রয়েছে অনীহা। আর মাস্ক পরাদের মধ্যে বেশিরভাগই থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছেন। বাসে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজার, বাংলামোটর, গুলিস্তান, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ি, শাহবাগসহ কয়েকটি সড়কের বাসে ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
শনিরআখড়া থেকে ঠিকানা বাসে দেখা গেল অর্ধেক যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। এমনকি ড্রাইভার ও হেলপারের মুখেও মাস্ক নেই। ড্রাইভার ইলিয়াসকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মাস্ক নেই তবে এখন থেকে মাস্ক মুখে দেব। যাত্রীদের বক্তব্য দেশে যে সংখ্যায় মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে তাতে এমন বিধিনিষেধ জারি করা অমুলক। আগে মানুষকে ভ্যাকসিন দেন; তারপর এমন বিধিনিষেধ জারি করেন। যাত্রাবাড়িতে দেখা গেল তুরাগ বাসে চালকের সহকারী চিৎকার করে যাত্রীদের ডাকছেন। মুখে মুখে মাস্ক নেই। হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করা মৌমিতা পরিবহণের গায়ে লেখা রয়েছে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’। অথচ বাসে দেখা গেলে বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই।
কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারা থেকে একটু সামনে শিকড় পরিবহনের চালকের সহকারী যাত্রী তোলার জন্য হাঁকডাক দিচ্ছেন। অথচ বাসে উঠে দেখা যায় প্রতিটি সিটে সাধারণ যাত্রী বসা। কয়েকজন দাঁড়িয়েও রয়েছেন। এদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক পরা নেই। আর মাস্ক পরাদের মধ্যে বেশিরভাগই মুখ থেকে খুলে থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছে। মাস্ক না পরা মো. অয়ন নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়। অয়ন জানান, দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকতে সমস্যা হয় তার। সেজন্য মাঝে মধ্যে খুলে রাখে।
একই স্থানে ট্রাস্ট পরিবহনের বাসে উঠে দেখা যায়, চালকের সহকারী মাস্ক না পরেই গেটে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছেন। জানতে চাইলে এ সহকারী বলেন, সারাদিন গাড়িতে থাকি। গরমের কারণে সবসময় মাস্ক পরা যায় না। তাছাড়া মাস্ক পরে কথা বলতে সমস্যা হয়।
বাংলামোটর মোড়ে ফার্মগেটমুখী কয়েকটি বাসে উঠে দেখা যায় একই চিত্র। সেখানে বিআরটিসি বাসে উঠে দেখা যায়, গাদাগাদি করে যাত্রী ওঠানো হয়েছে। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। মো. নুরউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মহাখালী যাবেন। মাস্ক মুখে না পরে থুতনির ওপর কেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবসময় পরে থাকলে দম বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহন নিয়ন্ত্রণসহ ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশবাসীকে এসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
গতকাল গুলিস্তানে শ্রাবণ পরিবহনের বাসে দেখা গেল ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে মাস্ক পরা যাত্রীর সংখ্যা মাত্র ৩ জন। ড্রাইভার ও হেলপার কারো মুখে মাস্ক নেই। জানতে চাইলে ড্রাইভার ও হেলপার বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ভেজাল খেতে অভ্যস্ত। করোনা আমাদের স্পর্শ করবে না।
বিধিনিষেধগুলো হলো বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। আর সব ধরনের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে করোনার টিকা সনদ থাকতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।