Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনেক বড় বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে

সিএমেএফ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বিএসইসি চেয়ারম্যান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:০৯ পিএম

দেশের পুঁজিবাজারের প্রতি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে। পুঁজিবাজারের পরিবেশকে এখন অনেকেই অনুকূল মনে করছেন। তাই অনেক বড় বড় ও লাভজনক কোম্পানি বাজারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী দুই বছরের এদের মধ্য থেকে বেশ কিছু কোম্পানি বাজারে আসবে। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমেএফ) নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ কথা বলেন।

সংগঠনটির নতুন সভাপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে তার সাথে সাক্ষাত করেন। এ সময় বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামস্দুনি আহমেদ, মো. আব্দুল হালিম, সিএমজেএফের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবু আলী, সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনসহ কমিটির অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বহুজাতিক কোম্পানি ও বড় বড় শিল্প গ্রুপকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার ব্যাপারে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। কিছুদিনের মধ্যে অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে। তিনি বলেন, চাইলে জোর করে বা ডিরেক্টিভ দিয়ে এসব কোম্পানিকে বাজারে নিয়ে আসা যায়। কিন্তু তারা তা করতে চান না। কারণ বাধ্য করার ফল অনেক সময় ভাল না-ও হতে পারে। তাই তারা কোম্পানিগুলোর জন্য অনুক‚ল পরিবেশ সৃষ্টিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর এই পরিবেশ যখন আকর্ষণীয় মনে হবে তখন কোম্পানিগুলোকে আনার জন্য কোনো ডিরেক্টিভের প্রয়োজন হবে না।

প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান কমিশন আইনের সংস্কার ও বাজারের উন্নয়নে যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলোর সুফল আসতে শুরু করেছে। যে কোনো উদ্যোগের ফল পেতে একটু সময় লাগে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে বিএসইসি’র উদ্যোগে যেসব রোড শো হয়েছে, সেগুলোরও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো কোম্পানি ও ফান্ড সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করেছে।

প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, দেশের অনেক বড় বড় কোম্পানি আন্তর্জাতিক পত্রিকা ফোর্বসের তালিকায় নাম তোলার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তার ভ্যালুয়েশনের মাধ্যমেই কেবল এটি সম্ভব।

তিনি সিএমজেএফের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান, গ্লোবাল এক্সপার্ট এনে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিএমজেএফের সদস্যদের রিপোর্টিংয়ের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার।

বিএসইসির কমিশনার প্রফেসর ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের রিপোর্টাররা অনেক পরিণত। তাদের রিপোর্টের মান অনেক ভাল। আরও ভাল করার জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। সিএমজেএফ’র সদস্যদের চাহিদা জানালে তারা সে অনুসারে প্রশিক্ষণ আয়োজনের ব্যবস্থা নেবেন।

অনুষ্ঠানে সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, সরকার ও বিএসইসির নানা উদ্যোগে সেকেন্ডারি মার্কেটে আস্থা ফিরেছে। বাজার যথেষ্ট গতি পেয়েছে। এখন প্রাইমারি মার্কেটে গতি সঞ্চারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কারণ এই বাজার গতিশীল হলেই কেবল অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়বে। তিনি দেশের পুঁজিবাজারে বড় বড় শিল্প গ্রুপের কোনো উপস্থিতি না থাকা এবং বেশিরভাগ বহুজাতিক কোম্পানির পুঁজিবাজারের বাইরে থাকার বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বিষয়ে কমিশনের কোনো উদ্যোগ আছে কি-না জানতে চান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ