পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পৌষ মাস যাই যাই করছে। দরজায় কড়া নাড়ছে মাঘ। অর্থাৎ বাংলাদেশে শীতকালের একদম মধ্যবর্তী সময় এটি। কিন্তু তারপরেও শীতের দেখা মিলছে খুবই কম।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, গত ৯ই জানুয়ারি গত ৪৩ বছরের মধ্যে অন্যান্য বছরের একই দিনের তুলনায় উষ্ণতম ছিল। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। যদিও রাতের শেষের দিকে তাপমাত্রা কমে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল।
সোমবারও বাংলাদেশে তাপমাত্রা বছরের একই সময়ের স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় দুই থেকে তিন ডিগ্রি বেশি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন দিনের বেলা কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাতা রেকর্ড করা হয়। এরকম তাপমাত্রা সাধারণত গ্রীষ্ম মৌসুমে দেখা যায়। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেটের শ্রীমঙ্গলে, ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেন, আবহাওয়া বিভাগের ৪৩টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে শুধু দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে বাকি সবগুলোতেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বেশি আছে। স্বাভাবিক তাপমাত্রা বলতে গত ত্রিশ বছরের তাপমাত্রার গড়ের হিসাব বোঝায় বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২১শে ডিসেম্বর আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল যে, ডিসেম্বরের ২০ এবং ২১ তারিখে সারাদেশে যে তাপমাত্রা, তা গত ৩০ বছরের একই সময়ের স্বাভাবিক তাপমাত্রার গড়ের চেয়ে বেশ কম ছিল। আবহাওয়াবিদরা বিবিসিকে বলেছিলেন, এই তাপমাত্রা গত ৩০ বছরের এই সময়ে দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রার গড়ের চেয়ে এক থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম। সেসময় দেশের অন্তত ১০টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছিল। ধারণা করা হয়েছিল যে, এবার শীতকালে শীতের প্রভাব হয়তো বেশিই থাকবে। কিন্তু বর্তমান চিত্র তার উল্টো।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল যে, ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। তবে সেটির দেখা এখনো মেলেনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকাতে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি কমতে পারে। আর এই মুহূর্তে দেশের কোন জেলাতেই তেমন শৈত্যপ্রবাহেরও খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
কিন্তু শীতের মাঝামাঝিতে এসে এমন আবহাওয়ার এমন উল্টোগতির বিষয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ার কারণেই শীতের পরিবর্তে উষ্ণতা বাড়ছে। আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলছেন, আগামীকাল অর্থাৎ ১১ই জানুয়ারি থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। টানা চার দিন ধরে চলতে পারে এই বৃষ্টি। বৃষ্টিপাতের আগের কয়েক দিন বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে আবহাওয়া গরম থাকে। আর তাই যেহেতু আগামী চার দিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে তাই গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি।
তবে বৃষ্টিপাত শেষ হয়ে যাওয়ার পর পরই সারা দেশে তাপমাত্রা আবার কমে যাবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, "চার দিন পর থেকে দেশে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে পারে।" উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, তবে আগামী ১৪ তারিখের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।