পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পারস্পরিক সুবিধা পাওয়ার জন্য জাপান ও বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে যুক্ত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) গুলশানস্থ বিজিএমইএ পিআর অফিসে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বিজিএমইএ সভাপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি একথা বলেন।
সভায় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আসিফ আশরাফ এবং জাপান দূতাবাসের ফার্ষ্ট সেক্রেটারি হারুতা হিরোকি উপস্থিত ছিলেন। তারা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বানিজ্য সম্প্রসারণ এবং এশিয়ার দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীরতর করার সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনাকালে তারা বানিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বিরাজমান বানিজ্য বাধাগুলো অপসারনের উপর জোর দেন। ব্যবসার সুযোগ তৈরির জন্য বাংলাদেশ ও জাপানের ব্যবসায়ী, বিশেষ করে যারা ফ্যাশন শিল্পের সাথে জড়িত, তাদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু করার বিষয়ে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ জাপানের বাজারে তৈরি পোশাকের শেয়ার বাড়াতে চায়। তিনি এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের খাতগুলো, বিশেষ করে নন-কটন টেক্সটাইল খাতে জাপানের ব্যবসায়ীদেরকে এগিয়ে আসার ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য জাপানি রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সিনথেটিক ফাইবার দিয়ে পোশাক প্রস্তুতের দিকে মনোযোগ বাড়াচ্ছে।
আলোচনাকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেডে) ভিতরে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর জন্য নতুন বাজারে রপ্তানির বিপরীতে প্রনোদনা সুবিধা সম্প্রসারণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশে অধিক জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষন করার জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা আরও সহজীকরণের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি আশা প্রকাশ করেন যে, জাপান বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রায় সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।