পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্টের সংলাপে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল। মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় অংশ নেয়।
সাম্যবাদী দলের প্রতিনিধিদের বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রেসিডেন্ট’র সাংবিধানিক দায়িত্ব। রাজনৈতিক দলগুলোর সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও রাজনীতিতে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, আর এ কাজটি রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে।
সংলাপে প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয়ার বিষয়ে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টকে বলেছি, বর্তমান বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শাসনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা বাস্তবসম্মত। সেই সরকার সংবিধান অনুসারেই গঠিত হবে। অথবা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অতীতে নির্বাচনকালীন একটি সরকার গঠন করেছেন সে রকমও হতে পারে। সংবিধানে তো নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই- এমন মন্তব্যের পর দীলিপ বড়ুয়া বলেন, এর আগে তো প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে অফার দিয়েছিলেন নির্বাচনী সরকারে আসতে। বিএনপি আসেনি। সেটা তো সরকারের ইচ্ছার বিষয়।
দীলিপ বড়ুয়া বলেন, আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করা। যদি নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি না হয়, তাহলে তো আর প্রাতিষ্ঠানিক, স্বাবলম্বী রূপ পাবে না। আর নির্বাচন কমিশন প্রশাসনের আজ্ঞাবহ হয়েই থাকবে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে জন্য আইন প্রয়োজন। আমরা মহানাম্য রাষ্ট্রপতিকে বলেছি, যদি সার্চ কমিটির মাধ্যমে করা হয়, তাহলে যেন সাংবিধানিক সংস্থাগুলো থেকেই নিয়ে যেন একটি কাউন্সিল করা হয়। সেই কাউন্সিল যেন নির্বাচন কমিশন গঠন করে।
সে কাউন্সিলে কারা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নির্দিষ্ট নাম দেইনি। তবে প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা যে কেউ হতে পারেন। এর মধ্যে দিয়ে সাংবিধানিক সংস্থার প্রধানদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন করতে পারেন। প্রেসিডেন্ট’র কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেসিডেন্ট’র প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।