পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ সোমবার রাতে একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। সংলাপে খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ দেশ ও জাতির স্বার্থে অবাধ সুষ্ঠু, অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্যে সকল দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি স্থায়ী আইন প্রণয়ন করাসহ ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
সংলাপে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা সাঈদুর রহমান, আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের অন্যতম কারণ হচ্ছে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়া। এতে গণতান্ত্রিক রাজনীতি যেমন বিপন্ন হয়ে পড়েছে তেমনি বাংলাদেশের ভাবমর্যাদারও অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি আমানতদার শক্তিশালী সক্ষম নিরপেক্ষ দক্ষ ও যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা আবশ্যক। যে নির্বাচন কমিশন প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠানে সফল হবে এবং তার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সঙ্কটের অবসান ঘটবে। এ জন্য গোটা জাতি এখন তাকিয়ে আছে রাষ্ট্রের অভিভাবক প্রেসিডেন্টের কার্যকর ভূমিকার দিকে।
একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রস্তাবাবলি পেশ করেন।
প্রস্তাব সমূহে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত একটি আইন করার যে নির্দেশনা সংবিধানে আছে, সে অনুযায়ী আজ ৫০ বছরেও কোনো স্থায়ী আইন করা হয়নি। আইন হলে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কখনো বিতর্ক হতো না । নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের অনুপস্থিতিতে সার্চ কমিটি গঠন করতে হচ্ছ্।ে সার্চ কমিটি নির্দলীয় ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত না হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়। অতএব দেশ ও জাতির স্বার্থে অবাধ সুষ্ঠু, অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্যে সকল দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি স্থায়ী আইন প্রণয়ন করা সময়ের দাবী। সৎ নিষ্ঠাবান যোগ্যতাসম্পন্ন এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় ব্যক্তির সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। কমিশনারগণ নীতিগতভাবে আল্লাহ ভীরু, বিজ্ঞ,ক্ষমতাসম্পন্ন, সৎ সাহসী ও ন্যায়-নীতি পরায়ন হওয়া অতীব জরুরী। এমন গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আপনার দূরদর্শিতায় সংবিধান মতে কমিশন গঠন করবেন- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনে সাধারণত সবাই নতুন থাকেন। তাই নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে নির্বাচন কমিশনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক হবে। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত বাংলাদেশেও যেন নির্বাচন কমিশন বাস্তবেই স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজ দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়। ধর্মবিদ্বেষী, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, কালোটাকার মালিক, অবৈধ সম্পদকে বৈধকারী, খুনি, সন্ত্রাসী ও সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী এবং ঋণখেলাপীদের সাথে জড়িত পরিবারবর্গকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকেও। নির্বাচিত হওয়ার পরও যদি মেডিক্যাল টেষ্টে মদ, গাঁজা ফেন্সিডিল, হিরোইনসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহনের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলেও তার সদস্যপদ বাতিল করা বাঞ্চনীয়। নির্বাচন কমিশন কর্র্তৃক রাজনৈতিক দলগুলোর সকল কমিটিতে ৩৩% মহিলা সদস্য রাখা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে যা নারীদের জোর করে রাজনীতি করতে বাধ্য করার শামীল। এই ধারাটি ঐচ্ছিক রাখার আবেদন করছি।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, আমরা আশা করি বর্তমান দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে এবং নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রস্তাবাবলি সহায়ক হবে। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত বিতর্কের চির অবসান ঘটবে। প্রেসিডেন্ট প্রতিনিধি দলের বক্তব্য ধৈর্য্যের সাথে শুনেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।