পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ড্রোন টেকনোলজি এবং জিও স্পেশালাইজড ল্যাব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আইসিটি টাওয়ারস্থ তার দপ্তরে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডঃ খন্দকার আজিজুল ইসলাম, উপ সচিব মোঃ মনির হোসেন,বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশস্থ দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাসের প্রথম সচিব জিংইউন লি, দক্ষিণ কোরিয়ার খ্যাতনামা টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান হোজাং সলিউশনস কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান নিবার্হী সিউক লি, আইসিটি বিভাগ ও অধীনস্থ সংস্থা সমূহেরসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বৃন্দ।
বৈঠকে কোরিয়ান বাংলাদেশে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওয়াটার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকোয়াকালচার বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের করার কথা জানায়।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, ভূমি, বিমান চলাচল ও পর্যটন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা তৈরীর কথাও তারা জানান।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। তিনি ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আইসিটির সাথে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের অভিমত ব্যক্ত করেন।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মৎস্, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, ভূমি ,বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা তৈরীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আইসিটি বিভাগের পক্ষ হতে আইসিটি বিভাগ, সড়ক, পরিবহন ও সেতু, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, এলজিআরডি, কৃষি ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উক্ত প্রক্রিয়ার সাথে সংযুক্ত করার পরামর্শ প্রদান করা হয়। এছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ থেকে জিও স্পেশালাঈজড ল্যাব স্থাপন বিষয়ে এদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান কোইকার মাধ্যমে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
ড্রোন টেকনোলজি এবং জিও স্পেশালাইজড ল্যাব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে কোর্ডিনেশন মিটিং করার বিষয়ে উভয়দেশ একমত পোষণ করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইসিটি খাতে অনেক এগিয়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। তিনি বলেন আগামী দিনগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশ সাথে প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করবে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।