পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শনিবার (১ জানুয়ারি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ সম্পর্কিত চূড়ান্ত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠানের প্রি-ইভেন্ট প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা বাড়ালাম। আমি যখন পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলাম সেসময় আমি নিজে স্টাডি করেছি। সেসময় আমাদের রেমিট্যান্স যা অর্জন করার কথা, আমরা ৪৯ শতাংশ অর্জন করতাম ফরমাল চ্যানেলে আর ইনফরমাল চ্যানেলে বাকিটা আসতো। আমি চিন্তা করলাম এটাকে ফরমাল চ্যানেলে আনলে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং সবাই এটার বেনিফিটটা পাবে। সেই চিন্তা থেকে আমরা প্রথম ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করি। এরপর লক্ষ্য করলাম আমাদের যে উদ্দেশ্য সেটি সফল। আমাদের যে অ্যাভারেজ রেমিট্যান্স ছিল ১৪ শতাংশ, এই প্রণোদনা দেওয়ার পর প্রথম বছরে রেমিট্যান্স বেড়ে হলো ১৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর আমাদের রেমিট্যান্স আরও বেড়ে যায় এবং ২০২০-২১ সালে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এই অর্জন আমি মনে করি একদিকে আমরা সহজ করেছি এবং পাশাপাশি ২ শতাংশ প্রণোদনা কাজে লেগেছে। কারণ রেমিট্যান্স পাঠাতে একটি খরচ করতে হয় সেটি কাভার করতে পারছে। এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার। সেটা করতে গেলে আমরা দেখলাম আমরা যদি ইনসেনটিভ আরেকটু বাড়িয়ে দেই তাহলে বর্ধিত যে খরচ তারা সেটি কাভার করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘এই রেমিট্যান্সটা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক এলাকায় কত বড় ভূমিকা রাখে সেটি অর্থনীতিবিদরা বুঝবেন এবং তারা আমার সঙ্গে একমত পোষণ করবেন যে, এটি অসাধারণ ভালো কাজ হয়েছে। আমরা একদিকে এটাকে সঠিক চ্যানেলে আনার চেষ্টা করছি, তাহলে জানতে পারি কতটা আসা উচিত আর কতটা পেলাম। যেটা পাচ্ছিলাম না সেটা ইনফরমাল চ্যানেলে চলে যাচ্ছিল। আমরা সেই চ্যানেলটাকে অনুৎসাহিত করবো এবং ফরমাল চ্যানেলেই পুরোটা অর্জন করতে চাই। সেজন্যই প্রণোদনা ২ শতাংশ ছিল সেখানে থেকে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে, আজ থেকে এটি কার্যকর হবে। আশা করি এই অর্থবছরে ২৬ বিলিয়ন অর্জন হবে।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন অসৎ ব্যবসায়ীরা ভিন্ন পথে টাকা পাচার করছেন এবং রেমিট্যান্স থেকে সেটা কাভার করা হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে টাকা পাচার হয় এটা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। আপনাদের (মিডিয়া) থেকে তথ্য নিয়েই আমরা ব্যবস্থা করছি। গত কয়েকদিন আগেও কয়েকটি মামলার রায় হয়েছে, অনেকেই জেলে আছে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যেটি সম্ভব তা বাস্তবায়ন করছি। আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে কে দোষী বা নির্দোষ সেটি কীভাবে প্রমাণ করবো? আমার যে চিন্তা সেটি হলো এখন বিদেশে টাকা রাখলে কেউ সেই টাকার ওপর কোনো লাভ পাচ্ছে না বরং দেশে ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ দিতে হয়। এই টাকাগুলো আমাদের কষ্টার্জিত টাকা, আমাদের ভাইবোন যারা বিভিন্ন ব্যবসা ও পেশায় জড়িত তারাই এ অর্থটি পাঠায়। আমরা চাই এই অর্থ দেশের মানুষের কাজে আসুক। দেশের সরকারের কাছে আসুক। সরকার যদি এই অর্থটি সম্পর্কে জানতে পারে তাহলে সরকার অর্থবহভাবে এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইম্পোর্ট বাড়বে, ইম্পোর্ট বাড়া ভালো। ইম্পোর্ট বাড়লে এক্সপোর্টও বাড়বে। আমাদের এক্সপোর্টও বেড়েছে। আমরা যতই রপ্তানি করি তার সিংহ ভাগই ইম্পোর্ট খাতে চলে যায়। তবুও আমাদের এক্সপোর্ট বাড়াতে হবে, আমরা সেই কাজটি অব্যাহত রেখেছি। আমরা কয়েকটি খাতকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি। এবং সেখানেও বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়ে থাকি। এগুলোর মূল কথাটা হলো একটু সাহায্য-সহযোগিতা করা। আমাদের উদ্দেশ্য হলো দেশের টাকা যারা যেখান থেকে অর্জন করুক দেশে আসুক। দেশে আনার জন্য যা যা বাস্তবায়ন করা দরকার আমরা করবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।