পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইংরেজি বছর ২০২১ এর বিদায় ও নতুন বছর ২০২২ সাল বরণের মুহূর্তে বর্ণিল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে ভাসছে সোশ্যাল মিডিয়া। নেটাগরিকদের অনেকেই বিদায়ী বছরের স্মৃতি তুলে ধরে নতুন বছরের শুভ কামনা করে পোস্ট দিচ্ছেন। অনেকের ফেসবুক প্রোফাইল বা কাভার ছবিতে বর্ষবরণের রঙিন ছাপ দেখা যাচ্ছে। ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ লেখা রঙিন ব্যানার-পোস্টারে ভাসছে নেট দুনিয়া।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন বছরটাকে নানা ভাবে বরণ করা হয়। কোথাও পার্টি, লাউড মিউজিক এবং আতশবাজি দিয়ে আবার কোথাও অদ্ভুত কিছু রীতিতে। চলুন জেনে নিন নানা দেশের অদ্ভুত সব রীতিতে বর্ষবরণ সম্পর্কে।
প্রতিবছরই বর্ষবরণকালে এসব অদ্ভুত রীতি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চলুন বিশ্বের বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতির তেমনই কিছু রীতি জেনে নেওয়া হোক--
পুরনো ফার্নিচার ফেলে দিয়ে নতুন দিনের শুরু হয় যেখানে:
দক্ষিণ আফ্রিকায় কিছু মানুষ ঘরের জানালা দিয়ে পুরনো ফার্নিচার ছুঁড়ে ফেলে নতুন বছর শুরু করে। এভাবে তারা পুরনোকে ছুঁড়ে ফেলে নতুনকে বরণ করে থাকে।
প্রিয়জনের বাসার দরজায় প্লেটের ভাঙা টুকরো!
বাড়িতে কারও সঙ্গে ঝগড়া হলে রেগে প্লেট ছুড়ে ভেঙ্গে ফেলেন অনেকেই। কিন্তু রাগ প্রকাশের এই ধরনেই নতুন বছর আগমনের আনন্দ প্রকাশ করা হয় ডেনমার্কে। বছর জুড়ে অব্যবহৃত এবং অল্প ভাঙ্গা প্লেট জমিয়ে রাখেন দেশটির মানুষ। ঘড়ির কাটা নতুন বছর ছুঁলেই দেয়ালে এসব প্লেট ছুড়ে ভেঙ্গে ফেলেন তারা। পুরো পরিবার মেতে উঠে প্লেট ভাঙ্গার আনন্দে। এই রীতিই ভাইরাল হতে দেখা যায় ফেসবুকে।
স্পেন: যেখানে আঙ্গুর খেয়ে উদযাপন করা হয় নববর্ষ
নতুন বছরের ১২টি মাস যেন সৌভাগ্যের হয় সেজন্য স্পেনে ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজার সাথে সাথে একটি করে আঙ্গুর খাওয়ার সংস্কৃতি আছে। এতে নাকি তাদের নতুন বছরের ভাগ্য প্রসন্ন হবে।
সব গোল:
ফিলিপাইন্সের মানুষেরা গোল আকৃতিটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করেন। তাই নববর্ষে তারা সব কিছু ‘গোল চান। কয়েন ‘গোল’, তাই উপহার হিসেবে কয়েন দেন। খাবারও গোলাকৃতির খেতে ভালোবাসেন নতুন বছর বরণ করে নেয়ার অনুষ্ঠানে।
রঙচঙে আন্ডারওয়্যার:
দক্ষিণ আমেরিকার মানুষ বিশ্বাস করেন, আন্ডারওয়্যারের রঙের সঙ্গে ভাগ্যের সম্পর্ক আছে। তাই নতুন বছরকে বরণ করতে তারা চাহিদা অনুযায়ী আন্ডারওয়্যারের রঙ বেছে নেন এবং সেটা পরেন। যেমন যার ভালোবাসার মানুষ প্রয়োজন, তিনি লাল আন্ডারওয়্যার পরেন। যার শান্তি প্রয়োজন তিনি বেছে নেন সাদা এবং যার সম্পদ প্রয়োজন তিনি পরেন সোনালী রঙ এর আন্ডারওয়্যার।
ঘণ্টা বাজানো:
জাপানের মানুষেরা নতুন বছরকে বরণ করে নেয় ঘণ্টা বাজিয়ে। মন্দিরের ঘণ্টা ১০৮ বার বাজিয়ে নতুন বছরের আগমন উদযাপন করেন তারা। তারা বিশ্বাস করেন ১০৮ বার ঘণ্টা বাজালে জীবনের ১০৮টি ইচ্ছা পূরণ হবে এবং ১০৮টি বিপদ কেটে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।