পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা দরপতনের ধারা থেকে বেরিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো পুঁজিবাজার।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যাহত দরপতন রোধে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে মার্জিন ঋণ সুবিধার ক্ষেত্র আরও বাড়িয়েছে কমিশন। এই ইস্যুতে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দেশের পুঁজিবাজার। তারা বলেন, এখন থেকে ‘জেড’ ছাড়া শেয়ারের অন্য কোনো ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকেই মার্জিন ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। আগে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ সুবিধা পেতে ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। এখন সেই সমস্যা কাটছে।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়। এতে এক সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ১৬৫ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন কমে ১২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের রোববারও পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়। তবে গত সোমবার মূল্যসূচকের কিছুটা উত্থান হয়।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের ১৬ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া সূচকের এই উত্থান প্রবণতা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এমনকি লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় সূচক উত্থান আরও ত্বরান্বিত হয়। ফলে সূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৭৪২ পয়েন্টে উঠে আসে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৫২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৭২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৪৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৭১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিএসসি’র ৫৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৬ কোটি ৮ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-সোনালী পেপার, ওয়ান ব্যাংক, ফরচুন সুজ, বেক্সিমকো ফার্মা, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং জিএসপি ফাইন্যান্স।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২১৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬০টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।