পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে নয় শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিভিন্ন এনজিও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে এখনো ২৪ শতাংশ সুদ আদায় করছে। একটা বড় অংশ আর্থিক খাত থেকে বঞ্চিত। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিতে পারলে রক্ষা পাবে উদ্যোক্তারা। আর্থিক খাতের মাধ্যমে ধনীদের সুযোগ গরীবদের দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পিআরআই-ইআরএফ আয়োজিদ এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল পল্টন টাওয়ারে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লিউশন ই বাংলাদেশ ইমপ্যারেটিভস অ্যান্ড প্যাকটিসেস প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দেবদুলাল রায়।
আহসান মনসুর বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে ৬৪ শতাংশ আসে ইন-ফরম্যাল (অনানুষ্ঠানিক) খাত থেকে। অথচ সেখানে বেশির ভাগ ব্যাংক যেতে চাই না। তাদের ব্যাংকহীন এলাকায় যেতে হবে। তাহলে ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ সুদে কেউ ঋণ নিবে না। আর্থিক খাতে এখনো অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। বিশ্বে ৪২তম স্থানে রয়েছে। পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে অবকাঠামো ও সরকারের নীতিগত সমর্থনের বড় দুর্বলতা। ব্যাংকিং খাতে ৪০ শতাংশ কর দিতে হয়। এতো বেশি ট্যাক্স (কর) আরোপ বিশ্বে কোথাও নেই।
তিনি বলেন, ব্যাংক মানে শুধু টাকা জমা না। পরিবারের খরচ এবং সঞ্চয়ও বড় ব্যাপার। কিন্তু আমাদের দেশে সঞ্চয়ের হার ১৮ শতাংশ। ভারতে যেখানে ২৮ শতাংশ। গত কয়েক বছরে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। মানি ট্রান্সফার, সরকারের বিভিন্ন সেবার অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে। এমনকি রেমিটেন্সও প্রদান করা হচ্ছে। দেশে ১৬টি কোম্পানির সাথে ২১টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং জড়িত। তারপরও ফাইন্যান্সিয়াল (আর্থিক) ব্যাংকিং টেকসই হয়নি। কারণ প্রায় হিসাবে সঞ্চয় থাকে না। অপরদিকে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংকিং সেবায় আনা হয়নি।
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তাখাতে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ভাতা দিচ্ছে। করোনাকালে প্রণোদনাও দিয়েছে। কিন্তু সঠিক তথ্য না থাকায় সবাইকে ২৫০০ টাকা করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই সরকারের সুযোগ যাতে সবাই পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। জিটুপির সুবিধা সবাইকে দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।