Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ ব্যাংক-বিএসইসি সমন্বয়ের দাবিতে মানববন্ধন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৩৫ পিএম

পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করে, এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি’র মধ্যে সমন্বয়ের দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘিরে কর্মসূচি পালন করেছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠন। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা সিদ্ধান্ত ও দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় না থাকার কারণে বাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ কমে গেছে। এ কারণে দরপতন হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে এই মানবন্ধন করেন বিনিয়োগকরীরা। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের চারদিকে সাতটি পয়েন্টে ব্যানারও টানিয়েছে। যেখানে লেখা ছিল, ‘দুইটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার- বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি’র টানাপড়েনে নাজুক অবস্থায় পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে দ্রুত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশের বাধার মুখে ১৫ মিনিট পর বিনিয়োগকারীরা অবস্থান ছাড়তে বাধ্য হলে তারা শাপলা চত্বরে ব্যানার নিয়ে দাঁড়ান। এক বছরেরও বেশি সময় চাঙাভাবের পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পুঁজিবাজারে যে দরপতন শুরু হয়, তার মধ্যে বাজার নিয়ে বিএসইসির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতভিন্নতার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের যে বিনিয়োগসীমা, সেটি শেয়ারের ক্রয়মূল্যে নাকি বাজারমূল্যে বিবেচনা হবে, বন্ডে বিনিয়োগ এই সীমার ভেতরে থাকবে, নাকি বাইরে থাকবে- এ বিষয়ে একমত হতে পারছে না দুই পক্ষ। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি ব্যাংকগুলোকে পারপেচুয়াল বন্ড ছেড়ে মূলধন বাড়ানোর যে ইঙ্গিত দিয়েছে, তা দিয়ে ব্যাসেল-থ্রি এর শর্ত পূরণ করা যাবে না।

দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে এই দূরত্বের কারণে বহু বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে বসে আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। সেই সঙ্গে অর্থবছর শেষের বিক্রয় চাপ আছেই।

 

গত ৩০ নভেম্বর দুই পক্ষের বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা না হওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে আরও একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে আরও একটি আলোচনার কথা জানানো হয়। চলতি মাসে বা আগামী জানুয়ারির শুরুতে বৈঠক শেষে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে বলে জানানো হয়। দ্বিতীয় সেই বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। এর মধ্যে গত ১৪ কর্মদিবসের মধ্যে ১০ কর্মদিবসই সূচক কমে গেছে। আগস্ট সেপ্টেম্বরে নিয়মিত দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হলেও গত ৭ ডিসেম্বরের পর তা প্রতিদিনই এক হাজার কোটি টাকার নিচে।

বাংলাদেশ ব্যাংককে ঘিরে এই কর্মসূচি নিয়ে আয়োজন সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সিদ্ধান্তেক্ষুদ্ধ। সে কারণেই এসব ব্যানার টানানো হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এসব ব্যাংক আবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তারা পুঁজিবাজারের ভালোর জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, কিন্তু দুই সংস্থার মধ্যে কোনো সমন্বয় থাকে না। এর ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ ব্যাংক যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে তা বিএসইসির সঙ্গে আলাপ করে নেবে। আর বিএসইসিও যেসব সিদ্ধান্ত নেবে সেগুলোও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে নেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ