Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসি গঠনে সাংবিধানিক কাউন্সিলসহ প্রেসিডেন্টকে ৬ প্রস্তাব দিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:১৫ পিএম

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য প্রেসিডেন্ট’র কাছে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন এবং আইন প্রণয়নসহ ছয়টি প্রস্তাব তুলে ধরেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল এ ৬টি লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরে। আজ (মঙ্গলবার) বিকাল সাড়ে ৩টার পরে প্রতিনিধি দলের নেতারা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। প্রেসিডেন্ট’র সংলাপে দলটির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল যোগ দেয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির লিখিত প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-

১. নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাই এর প্রতি তদ্রূপ মান্যতা ও মর্যাদা থাকতে হবে যাতে করে নির্বাচন পরিচালনা, তত্ত্বাবধানে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বাধীন পরিবেশে কাজ করতে পারে।

২. সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নার্থে আইনের বিধানাবলি অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন তৈরি করতে হবে। জাতীয় সংসদের নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই এই আইন উত্থাপন করে জরুরি ভিত্তিতে তা পাস করা যেতে পারে।

এখানে উল্লেখ করতে চাই, দেশের সকল রাজনৈতিক দলই এই আইন প্রণয়নের পক্ষে। নাগরিকদের পক্ষ থেকেও একই দাবি উত্থাপিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধান বর্ণিত বিধি পরিপূরণে আপনি (মহামান্য প্রেসিডেন্ট) সরকারকে এই নির্দেশ দিতে পারেন। অন্যথায় প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক জন্ম দেবে। এ ধরনের আস্থাহীনতার পরিবেশে নির্বাচন কমিশন যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারবে না।

৩. এই আইন অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনাররা নিয়োগের জন্য নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল থাকবে। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলের নেতা, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে এই সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠিত হবে। এই সাংবিধানিক কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট’র নিকট প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করবেন। প্রেসিডেন্ট তাদের পরামর্শমতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগ করবেন।

৪. যদি আইন প্রণয়ন একান্তই সম্ভব না হয় তবে বিকল্প হিসেবে যে সার্চ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের নিয়ে তা গঠন করা যেতে পারে। তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতি পদে চারজনের নাম প্রস্তাব করবে। সার্চ কমিটির দেওয়া নামের তালিকা সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটি বাছাই করে সেখান থেকে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রেসিডেন্টর কাছে পেশ করবে। প্রেসিডেন্ট ঐ তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ দেবেন।

৫. নির্বাচন কমিশনের পাঁচ সদস্যের মধ্যে দুজন নারী সদস্য থাকবেন।

৬. নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী আইনগুলোর যথাযোগ্য প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

সংলাপে অংশগ্রহণকারী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান ও নজরুল ইসলাম হক্কানী। এর আগে, গতকাল প্রেসিডেন্ট’র সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও খেলাফত মজলিস। এ আলোচনায় নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রেসিডেন্ট। ২০ ডিসেম্বর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। সংবিধানে কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ আছে। তবে এ সংক্রান্ত আইন দেশে হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি সম্ভাব্য ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করার পর প্রেসিডেন্ট সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেন। এবার সংবিধান অনুযায়ী আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:২৯ পিএম says : 0
    একেবারেই একটি গাঁদার দল,ফাজলামি ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ