পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং চীনের ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টারের (এনএমইএফসি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঢাবি ও এনএমইএফসি এ দু’টি প্রতিষ্ঠান সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এতে প্রধান অথিতি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো.আখতারুজ্জামান। ঢাবি পট্রজারার প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং এনএমইএফসি’র মহাপরিচালক প্রফেসর ড. ইউ ফুজিয়াং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এসময় ঢাবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কাউসার আহাম্মদের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. তৌহিদা রশীদ, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জোবায়ের আলম এবং এনএমইএফসি’র উপ-মহাপরিচালক প্রফেসর চেন ঝি উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টার সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সম্মেলন, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করবে। এছাড়া, বাংলাদেশে সমুদ্রের মডেলিং, মহাসাগরের পূর্বাভাস ব্যবস্থা, আবহাওয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকি প্রশমন ও প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই দু’প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করবে।
উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থী বিনিময় এবং গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদান করা হবে।
ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য এনএমইএফসি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং দুই দেশের জনগণ উপকৃত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই সমঝোতা স্মারক কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।