পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে এ অব্যাহতি দেওয়া হয়। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। তবে মঞ্জু বললেন, আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম মঞ্জুর জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে অমিত বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি খুলনা মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে সিনিয়র নেতাদের সমালোচনা করেন মঞ্জু। তিনি শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক ও শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্য সচিব করে দেওয়া খুলনা মহানগর বিএনপির কমিটি পুনরায় মূল্যায়নের দাবি জানান। এই কারণে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার চিঠি কিছুক্ষণ আগে পেয়েছি। তবে, কেন ওনাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে কিছু জানি না। তিনি আরও বলেন, দল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনকে নানান দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমাকে সেই রকম দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নজরুল ইসলাম মঞ্জু গণমাধ্যমকে বলেছেন, পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দল তার প্রতি অবিচার করেছে। তবে তিনি ‘বিএনপিতেই আছেন, বিএনপিতেই থাকবেন’ বলেও জানান।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, খুলনায় দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম চলছে, এটা আমি লিখিতভাবেও জানিয়েছিলাম। প্রথমত, এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমি দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে বিএনপি করি।কমিটি গঠনের পর ‘অগ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ার’ বিষয়টি উল্লেখ করে নিজের করা সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে মঞ্জু বলেন, ‘অগ্রহণযোগ্য নেতাদের নিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে—আমি সেটি ছোট আকারে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলাম।’ বর্তমান কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে দুর্বৃত্তায়নের প্রসার ঘটেছে বলে মনে করেন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম।
গত ৯ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক, তরিকুল ইসলাম জহিরকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও মো. শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্য সচিব করে খুলনা মহানগরীতে নতুন কমিটি করে বিএনপি। প্রায় ২৯ বছর পর নগর কমিটির নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পরে ১২ ডিসেম্বর অনুসারীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। সেখানে তিনি নতুন কমিটি পুনঃমূল্যায়ন করার আহ্বান জানান। এই সংবাদ সম্মেলনের পরই শোকজ করা হয় তাকে।
বিএনপির সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দল অসততা ও অন্যায়ের দিকে ধাবিত হলো। আমি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ও বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনীতি করি। দলের এই দুঃসময়ে দল যেন সঠিক পথে থাকে, সঠিক ধারায় থাকে, সেটাই আমি চাই।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে বিএনপি করি। বিএনপির কর্মী আমি। কখনও শৃঙ্খলাভঙ্গ করিনি। দলের সকল কর্মসূচি সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি। খুলনায় সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সাহসী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছি। খুলনা অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণনেতা হিসেবে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অব্যাহতির খবরে বিএনপিতেও ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বিএনপির এই কর্মসূচি চলাকালে মঞ্জুর মতো সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক নেতার অব্যাহতির মধ্যে দিয়ে পুরো দল এমনকি দেশের তৃণমূলে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছেছে।
মঞ্জু বলেন, আমি তো কোনও অন্যায় কিছু করিনি। অস্বচ্ছতা, অসততা ও দলের জন্য যা কিছু ভালো মনে হয়েছে, তাই করেছি। এই সিদ্ধান্তের কারণে ভবিষ্যতে নিষ্ঠাবান, ত্যাগী নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হলো, নেতাকর্মীদের আস্থার সংকটও সৃষ্টি হলো। দলের অব্যাহতির সিদ্ধান্তে নতুন কিছু চিন্তা করছেন কিনা, এমন প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমি বিএনপির কর্মী। বিএনপি ছাড়া কোনও কথা নেই। এখন বিএনপিতে আছি, আগামীতেও বিএনপিতে থাকবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।