Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রফতানিমুখী জুতা ও চামড়া শিল্পে বন্ড সুবিধা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

শতভাগ রফতানিমুখী জুতা ও চামড়া শিল্পে শুল্কমুক্তের নতুন সুবিধা যোগ হয়েছে। এখন থেকে এই ধরনের শিল্পে একই মালিকানাধীন বা একই প্রতিষ্ঠানের আওতায় একাধিক স্থানে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন স্তরের উৎপাদন ইউনিটের কার্যক্রমকে মূল বন্ডেড প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচনা করে বন্ড সুবিধা পাওয়া যাবে। লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) ও বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স¤প্রতি এ বিষয়ে বিশেষ আদেশ জারি করেছে।

নিট, ওভেন, ডাইং ও প্রিন্টিং, টাওয়েল, লিলেন, হোম টেক্সটাইল, লেদার ও ফুটওয়্যার ট্যানারি খাতের উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে। গতকাল এনবিআর সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ নভেম্বর এ বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শতভাগ রফতানিমুখী বন্ডেড শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে একই মালিকানাধীন বা একই প্রতিষ্ঠানের আওতায় একাধিক স্থানে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন স্তরের উৎপাদন ইউনিটের কার্যক্রমকে মূল বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) ও বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর পর্যালোচনা শেষে ২০০৮ সালের ১০ জুন জারি করা সাধারণ আদেশ অধিকতর সংশোধন করে বন্ডেড সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

এ সুবিধা একই বন্ড কমিশনারেটের আওতায় যেসব এলাকায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিটিএলএমইএ, বিটিএমএ, এলএফএমইএবি ও বিটিএভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু রয়েছে ওই সব এলাকায় দূরত্ব নির্বিশেষে মূল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কনটিনিউওয়াস বন্ড সুবিধা প্রদান করা যাবে।

লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে জুতার বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের এ খাতে অবদান মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ। বিশ্বে জুতার মোট বাজারের ৫৫ শতাংশ চীনের দখলে। ভারত ও ভিয়েতনামেরও ভালো অবস্থান আছে। করোনার পর তৈরি পোশাকের মতো চামড়া খাতের রফতানিতেও নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রধান রফতানিকারক দেশ চীনের কিছু অর্ডার বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে। ভিয়েতনাম থেকেও অর্ডার আসছে। এসব সুযোগ ভালোমতো কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যতে এ খাতের রফতানি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রফতানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ