পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে দীর্ঘদিনের সমস্যা গণপরিবহনে নৈরাজ্য ও যানজট। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয় নানা উদ্যোগ। কিন্তু কোন উদ্যোগই কাজে আসছে না। নগরবাসীর যানজট সমস্যার সমাধান মেলেনি। এসব সমস্যাকে ভাগ্যের লিখন হিসেবেই মেনে নিচ্ছেন রাজধানীবাসী। ঢাকা শহরে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ২০১৮ সালে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি গঠন করে সরকার। তবে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির পক্ষ থেকে বাস মালিকদের অসহযোগিতার কথা বলা হয়। কিন্তু বাস মালিকরা বলছেন গণপরিবহনের যেকোন কাজে তারা সব সময়ই রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সাথে কাজ করতে আগ্রহী।
ঢাকা সড়ক সমন্বয় কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা নগর পরিবহন নামে বাস সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নেয় বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। যাত্রী ছাউনি এবং বাস-বে নির্মাণকাজ ৮০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে। উদ্বোধনের আগেই চালক এবং তার সহকারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া চালক ও সহকারীদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক নির্ধারণ করা হয়েছে। বাসের চালকদের গায়ে পোশাকের রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে। চালক এবং সহকারীদের প্রশিক্ষণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুক্তিভিত্তিক বাস চালানো, নিয়মবহির্ভ‚ত ওয়েবিল পদ্ধতি, শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নেয়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধসহ নানা দাবি ওঠে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব নৈরাজ্য বন্ধ করাতে বারবার কড়া নির্দেশ দিলেও বাসমালিকরা তা মানছেন না এমন অভিযোগও রয়েছে। ইতোমধ্যে মতিঝিল-ঘাটারচর রুটে ঢাকা নগর পরিবহন চলাচল করার সব ধরেনর ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে কাউন্টার নির্মাণ, দূরত্ব ও ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এ রুটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ২০ পয়সা। এ নিয়েও মালিকদের আপত্তি রয়েছে। এ ছাড়া দাঁড় করিয়ে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয়ার দাবিও করেছেন তারা। প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাস নিয়ে চলবে এই নগর পরিবহন। কিন্তু বাস যারা চালাবেন সেই চালকদের এখনও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। এছাড়া এখনও এই রুটে যাত্রী ছাউনি এবং বাস-বে নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।
এর মধ্যে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা নগর পরিবহন প্রায় ২১ কিলোমিটারের রুটে সবুজ রঙের বাস নিয়ে চালু হচ্ছে। বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের অংশ হিসেব এটি চালু হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২০তম সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরার পাশাপাশি ঢাকার যানজটও নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সভায় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে বিআরটিসির ৩০টি বাস এবং ট্রান্সসিলভারের ২০টি বাস নিয়ে ঢাকা নগর পরিবহনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। এ রুটের বাসগুলো হবে সবুজ রঙের। প্রথমে ৫০টি বাস নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও কিছুদিনের মধ্যে এ রুটে মোট ১০০টি বাস চলাচল করবে।
কমিটির আরেক সদস্য এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিন থেকেই এ রুটের বাসগুলোতে ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হবে। আমাদের বাস-বে, যাত্রী ছাউনিগুলোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি বাসের ড্রাইভার-স্টাফদের নির্দিষ্ট পোশাক থাকবে, সেইসঙ্গে তাদের আইডি কার্ড গলায় ঝোলানো অবস্থায় থাকবে। যেসব বাসের রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট আছে, সেসব বাসই কেবল এ রুটে বাস পরিচালনা করতে পারবে।
তবে ঢাকা সড়ক সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এক কর্মকর্তা বলেন, উদ্বোধনের আগেই চালক এবং তার সহকারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যাত্রী ছাউনি এবং বাস-বে নির্মাণকাজ ৮০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে। এছাড়া চালক ও সহকারীদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই রুটের বাসগুলো ৩৬-৩৮ আসনের। এসব বাসের চালকদের গায়ে নীল রঙের পোশাক থাকবে। ট্রান্সসিলভার চালকদের গায়ের পোশাক হবে সবুজ রঙের। ২৪ ডিসেম্বর চালক এবং তার সহকারীদের প্রশিক্ষণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাস-বে ও যাত্রী ছাউনিসহ আনুষঙ্গিক কাজ দু-একদিনের মধ্যে শেষ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।