পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720386821](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে কোনো গ্রুপিং করতে দেয়া হবে না। দেশটির নিয়োগকর্তারা কর্মীর আসা যাওয়ার বিমান ভাড়া বহন করবে। দেশটির শ্রম আইন অনুযায়ী মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে কর্মীরা। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করে দেয়া হবে। নামমাত্র অভিবাসন ব্যয়ের মাধ্যমে আমাদের গরিব মানুষগুলো মালয়েশিয়ায় চাকরি লাভ করবে। আগামী জানুয়ারি মাসেই মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি শুরু হবে। গত ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য উভয় সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে দেশে ফিরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ আজ মঙ্গলবার তার দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রবাসী সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় পরামর্শ এবং অবিরাম কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে মালয়েশিয়া সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের অনুমোদন প্রদান করে। প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএমইটির মহাপরিচালক মো.শহীদুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের কর্মীরা যেমন মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে, তেমনি বাংলাদেশের উন্নয়নেও অবদান রেখে যাচ্ছে যা উভয় দেশ স্বীকার করে। উভয় দেশের আইন, বিধি, প্রবিধান, জাতীয় নীতি এবং নির্দেশাবলীর আলোকে এই সমঝোতা স্মারকে কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদাকে অধিকতর সুরক্ষিত করা হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সকল খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় আনয়ন, আবাসন, কর্মে নিয়োজন এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত প্রেরণের খরচ বহন করবেন। ফলে আশা করা যায় কর্মীর অভিবাসন খরচ অনেক কমে যাবে। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির তালিক মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। প্রেরিত এজেন্সিসমূহ থেকে নিয়োগকারী মালয়েশীয় সরকারের বিধি অনুযায়ী বাংলাদেশি এজেন্ট বেছে নিবেন। এ বিষয়ে মালয়েশীয় সরকার স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করবে বলে সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এম.পি. গত ২০ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি হামজা বিন জয়েনউদিনের সাথে পুত্রজায়ায় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে অধিকতর সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী মালয়েশিয়ায় প্রেরণর বিষয়ে অত্যন্ত ফলপ্রুসু আলোচনা হয়েছে। এ বৈঠকে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা বলেন যে, “আমরা চাই একজন বিদেশী কর্মীকেও যেন অনিয়মিতভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করতে না হয়”। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়ার সাম্প্রতিক গৃহীত সিদ্ধান্তের জন্য তিনি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি সহসাই বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। প্রবাসী সচিব বলেন, মালয়েশিয়ায় এখনো কর্মী প্রেরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এর মধ্যে কেউ দালালদের কাছে পাসপোর্ট ও টাকা দিলে তা’ হবে অবৈধ। তিনি কোনো দালাল চক্রের কাছে টাকা দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, আগে মালয়েশিয়ায় যেতে ৩/৪ লাখ টাকার নেয়ার কথা শোনা যেতো। এখন কর্মীরা দেশটিতে অনেক কম টাকায় যেতে পারবেন এটাই আমাদের সাফল্য। এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসের দিকেই দেশটিতে জনশক্তি রফতানি শুরু হবে আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।