রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল এন্ড কলেজে নারী শিক্ষকদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধের ঘটনায় বিভিন্ন ইসলাম দলের নেতৃবৃন্দ গতকাল সোমবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে মুসলিম নারীদেরকে তাদের ধর্মীয় পোশাক হিজাব পরাকে নিষিদ্ধ করে গ্রেগরি স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। একটি মুসলিম দেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অন্যায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা চরম ধৃষ্টতা। অবিলম্বে স্কুল কর্তৃপক্ষকে হিজাব নিষিদ্ধকরণ নোটিশ বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বাংলাদেশ খলাফত আন্দোলন : রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল এন্ড কলেজে নারী শিক্ষকদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে মুসলিম নারীদেরকে তাদের ধর্মীয় পোশাক হিজাব পরাকে নিষিদ্ধ করে গ্রেগরি স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপালধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। একটি মুসলিম দেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অন্যায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা চরম ধৃষ্টতা। অবিলম্বে স্কুল কর্তৃপক্ষকে হিজাব নিষিদ্ধকরণ নোটিশ বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটির মুসলিম শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ দেশের তাওহিদী জনতা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

গতকাল সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী ও মুফতি আবু বকর সিদ্দিক শরীয়তপুরী প্রমূখ।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি: পুরান ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুল এর ভিনধর্মী প্রিন্সিপাল ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গোমেজ মুসলিম ধর্মাবলম্বী শিক্ষিকাগণের হিজাব পরিধান এর উপর নিষেধাজ্ঞার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা সারওয়ার কামাল আজিজি ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন ৯৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত ধর্মীয় স¤প্রীতির এই দেশে, ধর্মপ্রাণ মানুষকে উত্তেজিত করতে ষড়যন্ত্রমূলক এই নোংরা ন্যাক্কারজনক নোটিশ দেয়ার দুঃসাহস কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। হিজাব পরিধান করা মুসলিম নারীর ধর্মীয় আবশ্যিক বিধান এবং এটা রাষ্ট্রীয় নাগরিক অধিকার। এটা নিষিদ্ধ করার কোন এখতিয়ার তথাকথিত এই প্রিন্সিপালের নেই। সে একই সাথে ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে অপরাধী, এতবড় দুঃসাহস সে পেলো কোথায়? নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে এই ধর্মবিদ্বেষী প্রিন্সিপালকে বহিষ্কার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে নইলে বিক্ষুব্ধ জনতা ফুসে উঠলে সরকার তার দায় এড়াতে পারবে না।