পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষা নিশ্চিতে সম্প্রতি জাগো ফাউন্ডেশন-কে ২৫টি ল্যাপটপ অনুদান দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। সম্প্রতি ব্যাংকের সদর দপ্তরে হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয়; কান্ট্রি হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিটপী দাস চৌধুরী; জাগো বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক কোরভি রাকশান্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জাগো ফাউন্ডেশন কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও সহ-পাঠ্যক্রমে উৎসাহিত করে তোলে। তাদের সকল শিক্ষার্থীই সুবিধাবঞ্চিত পরিবার থেকে এসেছে। ফলে কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন ব্যবহারের সামর্থ্য তাদের নেই। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জাগো ফাউন্ডেশনের স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি ল্যাপটপ অনুদান দিয়েছে, যা তাদের সুশিক্ষা নিশ্চিতে যথেষ্ট সাহায্য করবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ফেলেছে। নিরন্তর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তা থেকে পুনরুদ্ধারের ধীর গতি মেনে নিতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। এর ফলে বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা অনেকাংশেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একইসাথে সামর্থ্য না থাকায় স্মার্ট ডিভাইস বা কম্পিউটারের অভাবে দূরবর্তী শিক্ষা থেকেও তারা বঞ্চিত হয়েছে। তাই সেই সংকট নিরসণে এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষা নিশ্চিতে আমাদের এই প্রয়াস।”
তিনি আরও বলেন, “জাগো ফাউন্ডেশন দীর্ঘ সময় যাবত আমাদের সাথে কাজ করছে। তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশেষ করে, শিক্ষাখাতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। চমৎকার এই উদ্যোগে জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত। সামনের দিনগুলোতে এটি আরও বড় পরিসরে হবে বলে আমি আশাবাদী।”
জাগো ফাউন্ডেশন-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কোরভী রাকশান্দ বলেন, “মহামারী আমাদের শিখিয়েছে যে প্রযুক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই ‘নিউ নরমাল’ ধারণার সাথে আমাদের খাপ খাওয়াতে হবে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করার এখনই সময়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের এই উদ্যোগে আমাদের পাশে থাকায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।”
বাংলাদেশের একটি সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন জাগো ফাউন্ডেশন। জাগো বাংলাদেশে ১১টি স্কুল পরিচালনা করছে। শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্যতা ও নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করাই সংস্থাটির মূল লক্ষ্য।
গ্রাহকদের সুবিধার্থে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যবসায়িক লোন রিপেমেন্ট হলিডে’স, জরিমানা মওকুফ বা বাতিলকরণ, ঋণ সম্প্রসারণ সুবিধাসহ নানান সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। ২০২০ সালে সর্বাধিক সিএসআর ব্যয়কারী বিদেশী ব্যাংক হিসেবে কোভিড-১৯ এর প্রভাবে তৎক্ষণাৎ সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে ১৩৫ মিলিয়ন টাকা (১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) অর্থের একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।