দরিদ্রদের শীতকষ্টে দুর্বিষহ জীবন

অগ্রহায়ণ মাস, হেমন্ত ঋতুর হলো অবসান। পঞ্জিকার পাতায় শীত ঋতুর প্রথম মাস পয়লা পৌষ আজ বৃহস্পতিবার। হেমন্তের শেষ দিনে গতকাল বুধবার দেশের সর্ব-উত্তরের জনপদ পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রার পারদ নেমে গেছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা চলতি শীতের মৌসুমে এ যাবৎ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে পারদের পতন। পৌষের আগেই এবার শীতের দাপট শুরু হয়েছে। আসছে সপ্তাহে শীতের কামড় আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

গতকাল দেশের বেশিরভাগ জেলায় মধ্যরাত থেকে ভোর-সকালের তাপমাত্রা ছিল ৯ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে। রাতের তাপমাত্রার সঙ্গে দিনের পারদও হ্রাসের দিকে। অধিকাংশ জেলায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রির মধ্যে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ডের ২৮.৫ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৬.৮ এবং সর্বনিম্ন ১৬.৯ ডিগ্রি সে.। চট্টগ্রামে যথাক্রমে ২৭ এবং ১৬.৭ ডিগ্রি সে.।

আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সাথে হিমালয় অঞ্চল হয়ে উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীতের জোর ক্রমেই বাড়ছে। শীতের সাথে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় মাঠ-ঘাট, সড়ক, শহরতলী, গ্রাম-জনপদ ঢাকা পড়ছে। কুয়াশার কারণে রাত থেকে সকাল অবধি যানবাহন চলাচল ব্যাহত এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

শীত ও কুয়াশার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরীব ছিন্নমূল মানুষজনের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে তারা খড়কুটা পুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শীতবস্ত্রের আশায় তাকিয়ে আছে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম-জনপদের হতদরিদ্ররা।

আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।