পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চলমান সুসম্পর্ক বজায় রেখে একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে চায় দুই দেশ। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা সফররত ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা জানান ড. মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
ড. মোমেন বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ৫০ বছরের সুসম্পর্ক। আমরা ওনাকে (ভারতের রাষ্ট্রপতি) বলেছি, এ সুসম্পর্ক সোনালী অধ্যায় এটা অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ। কারণ আমরা অনেক বড় বড় সমস্যা নিজেরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছি। আগামী ৫০ বছরে আমরা বিভিন্ন দিকে একে অপরকে সাহায্য করে উন্নতির শিখরে পৌঁছাব। আমরা কানেক্টিভিটির কথা তুলে ধরেছি। আগামীতে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করার কথা বলেছি। প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বলেন, অব্যাহতভাবে ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতা এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে এবং আরও অনেক দূর যাবে। বিপদের সময়ে ভারত বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার কথা তুলে ধরেছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কোভিডের সময়ে ভারত সহযোগিতা করেছে সেটা তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। এ সম্পর্কের ফলে অত্র এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে। ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাপারে অংশীদারত্ব রয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার জানান, দুর্গাপূজার পর যে সমস্যা হয়েছে সেই ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখানে সংখ্যালঘু হিসেবে কাউকে ট্রিট করা হয় না। সবাইকে সমান নাগরিক অধিকার দেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার সকালে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। ঢাকায় পৌঁছানোর পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ তাকে স্বাগত জানান। সেখানে ভারতের প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সফরের শুরুতে সকালে রাম নাথ কোবিন্দ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
সফরসূচি অনুযায়ী, ভারতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে রয়েছেন। এ সময় ভারতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি টি-৫৫ ট্যাংক এবং একটি মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের জন্য প্রেসিডেন্টকে উপহার হিসেবে দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর রামনাথ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভারতের রাষ্ট্রপতি গেস্ট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। একই দিন বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের সাউথ প্লাজায় বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং রক্তস্নাত বিজয়ের আবেগ ও আনন্দ উদযাপনের জন্য আয়োজিত মহাবিজয়ের মহানায়ক অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন। সফরের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর রামনাথ ঢাকার রমনা কালী মন্দিরের সদ্য সংস্কারকৃত অংশের উদ্বোধন করবেন এবং মন্দিরটি পরিদর্শন করবেন। ওই দিন দুপুরে তিনি দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।