Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার পিটিএ সাক্ষর চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে-বাণিজ্য সচিব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:৫৬ পিএম

‘বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভবনা’ শীর্ষক ডায়ালগ আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা চেম্বার মিলয়ানতনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। দি কনফেডারেশন অফ নেপালীজ ইন্ডাস্ট্রিজ (সিএনআই)’র সভাপতি বিষ্ণু কুমার আগারওয়ালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সম্মানে ডিসিসিআই উক্ত ডায়ালগের আয়োজন করেন।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণকে প্রাধান্য দেওয়ার উপর জোরারোপ করে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ ও নেপালের এলডিসি হতে উত্তোরণ ঘটবে, এমতাবস্থায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ‘অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)’ সাক্ষরের বিষয়টি বর্তমানে চুড়ান্ত পর্যায়ের রয়েছে, নেপাল সরকারের অনুমোদন পেলে শীঘ্রই তা আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষর হবে। বাণিজ্য সচিব জানান, বাংলাদেশের ভোক্তাশ্রেণির সংখ্যা অত্যন্ত বেশি এবং বিশেষকরে ভোগ্যপণ্য উৎপাদন খাতে নেপালের উদ্যোক্তাবৃন্দ এদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে সাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে দুদেশের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত হবে।

প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৩.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪.৮১ এবং ৬৮.৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের তৈরি পোষাক, ঔষধ, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাটপণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি খাত বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে, নেপালের প্রতিনিধিদলকে এসব খাতে বিনিয়োগের আহŸান জানান।

দি কনফেডারেশন অফ নেপালীজ ইন্ডাস্ট্রিজ (সিএনআই)’র সভাপতি বিষ্ণু কমুার আগারওয়াল বলেন, তাঁর দেশ সেবাখাত নির্ভর অর্থনীতি হতে উৎপাদনখাত নির্ভর অর্থনীতির দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ-জ¦ালানী, অবকাঠামো, ম্যানুফেকচারিং, তথ্য-প্রযুক্তি প্রভৃতি খাতে নেপালে বিনিয়োগের আহŸান জানান। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে তিনি ঢাকা চেম্বার হতে নেপালে প্রতিনিধিদল প্রেরণের আহŸান জানান।

সিএনআই-এর সহ-সভাপতি নির্ভানা চৌধুরী জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘চৌধুরী গ্রæপ’ ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য খাতে বিনিয়োগ করেছে এবং বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে একটি উৎকৃষ্ট গন্তব্য স্থল হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপাল দূতাবাসের চার্জ ডি এ্যাফেয়ার্স কুমার রায় বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে তিনি দুদেশের বেসরকারি খাতে উদ্যোক্তাদের একযোগে কাজ করার আহŸান জানান। সমুদ্র অর্থনীতি এবং হাইটেক শিল্প উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ শীঘ্রই এ পরিকল্পনার সুফল ভোগ করবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বার এবং কনফেডারেশন অফ নেপালীজ ইন্ডাস্ট্রিজ (সিএনআই)-এর মধ্যকার সহযোগিতা স্মারক সাক্ষরিত হয়, যেখানে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং সিএনআই’র সভাপতি বিষ্ণু কুমার আগারওয়াল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সহযোগিতা চুক্তিতে সাক্ষর করেন।

সভায় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সফরকালে প্রতিনিধিদলটি সরকারের মন্ত্রী, সচিব এবং বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ শেষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ