পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1722048339](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তানে আফিম পপির চাষ ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ রোববার এ খবর নিশ্চিত করেছে। আফিম পপি হচ্ছে বিশে^ হেরোইনের প্রধান উৎস। সেখানে তালিবানরা ক্রমেই অধিক পরিমাণ এলাকা দখল করছে।
মাদক ও অপরাধবিষয়ক জাতিসংঘ অফিস (আনডক) তাদের বার্ষিক আফিম জরিপে বলে, আফগানিস্তানে পপি চাষের মোট জমির পরিমাণ ২০১৬ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ২ লাখ ১ হাজার হেক্টরে (৪ লাখ ৯৭ হাজার একর) পৌঁছছে। আনডকের নির্বাহী পরিচালক ইউরি ফেদেতভ এক বিবৃতিতে বলেন, এ জরিপ থেকে আফগানিস্তানের উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অবৈধ মাদক ও তার প্রভাবের মোকাবেলায় উদ্বেগজনক বিপরীত চিত্র দেখা যায়।
বহু এলাকায় নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের শিথিল কর্তৃত্ব পপি ধ্বংসকরণ প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। ২০০১ সালে তালিবান শাসনাধীন আফগানিস্তান দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র পপি ধ্বংসের পদ্ধতি চালু করে।
ফেদেতভ বলেন, পপি ক্ষেত ধ্বংসের পরিমাণ ৯১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে এখন মাত্র ৩৫৫ একরে এসে ঠেকেছে। রিপোর্টে বলা হয়, পপি চাষ নতুন এলাকায় সম্প্রসারিত হয়েছে। অন্যদিকে পপিমুক্ত প্রদেশের সংখ্যা ৩৪ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩ থেকে ১৪টিতে দাঁড়িয়েছে।
রিপোর্টে এ মাসের গোড়ার দিকে ফেদেতভের বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলা হয়, ২০১৬ সালে পপি চাষের এলাকা ২ লাখ হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে এবং ১৯৯৪ সাল থেকে আনডক পপি চাষকৃত জমির যে পরিমাণ নির্ধারণ শুরু করার পর সর্বোচ্চ পরিমাণ জমি চাষের তিন বছরে এবার সবচেয়ে পরিমাণ জমিতে পপি চাষ হয়েছে।
ফেদেতভ ৪ অক্টোবর ব্রাসেলসে এক সম্মেলনে বিবৃতি দেন। এ সম্মেলনে বিশ^শক্তিগুলো পরবর্তী ৪ বছরের জন্য আফগানিস্তানের জন্য ১৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।
তালিবানের সাফল্য যুদ্ধক্ষেত্রে আফগানিস্তানের ন্যাটো প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষা সীমাবদ্ধতাকে প্রকাশ করেছে। ন্যাটো প্রশিক্ষিত আফগান সৈন্যদের সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখ হলেও তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ নিহত হয়েছে বা সপক্ষ ত্যাগ করেছে।
আনডক বলে, উত্তরাঞ্চল ও বাদগিস প্রদেশে পপি চাষ বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব অঞ্চলে ২০১৫ সাল থেকে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। দক্ষিণাঞ্চলের পর বাদগিসসহ পশ্চিমাঞ্চল আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎ আফিম উৎপাদন এলাকা।
রোববার প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানে বলা হয়, এ বছর পপি চাষের জমি ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এর ফলে সপ্তম বৃহৎ রেকর্ড পরিমাণ পপি উৎপাদিত হয়েছে। ২০১৫ সালের চেয়ে এ পরিমাণ ৪৩ শতাংশ বেশি।
আনডক আরো জানায়, এই উৎপাদন বৃদ্ধির পরিমাণ চাষকৃত এলাকার চেয়ে কম বিশ^াসযোগ্য। আনডক বলে, এ হিসাবের সীমাবদ্ধতা আছে। নিরাপত্তার কারণে প্রধান পপি উৎপাদনকারী প্রদেশগুলোতে উৎপাদন জরিপ চালানো যায়নি। যে সব প্রদেশে জরিপ চালানো যায়নি সেগুলোতে আঞ্চলিক উৎপাদন গড় দেখানো হয়েছে। সূত্র রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।