গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ১৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগে নতুন ভর্তি হয়েছে ১৭ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কনট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর একদিন আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তির তথ্য জানিয়েছিল অফিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগী ১৯৩ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মোট ২৭ হাজার ৯২৮ জন ভর্তি হন। এছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৬৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি ৪৬টি হাসপাতালে ১২৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ৬৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু ১০১ জনের।

এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ১৭৯ জন। ২০০২ সালে ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারি মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি নিরাপদ এবং কার্যকর ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা এখনও চলছে। তাই সতর্কতাম‚লক ব্যবস্থা মেনে চলা এবং প্রতিরোধমূলক প্রোটোকল মেনে চলা সর্বোত্তম উপায়। এটি মনে রাখা উচিত যে ডেঙ্গু একটি সংক্রমণ হিসেবে রয়ে গেছে, যা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্মূল করা যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এটি সম্পূর্ণ রূপে এড়ানো যায়।