পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সদ্য বিদায়ী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতেই দেয়া হয় নি। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি তাকে সেদেশে ঢুকতে দেয় নি।
এ সময় তাকে জানানো হয়, তার সেদেশে ঢোকা নিয়ে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও কানাডিয়ান নাগরিক আপত্তি তুলেছে। তারপর তাকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে মধ্যপ্রাচ্যের একটি বিমানে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশ্যে তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হলো নানা আলোচনা সমালোচনা।
এ বিষয়ে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার বিষয়ে সম্প্রতি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপক সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। ইতোমধ্যেই মার্কিন মিত্র কানাডা এই সিদ্ধান্তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর দেখতে পাচ্ছি। সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদকে কানাডা থেকে বহিষ্কার করার পেছনে এই সিদ্ধান্ত কোন ভুমিকা রেখেছে কিনা এখনো জানা যায়নি। তবে একই সাথে এটাও একটি অনেক বড় ঘটনা। সংশয় রয়েছে, মার্কিন জোটের অন্যান্য মিত্র দেশ যেমন ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশ এই সিদ্ধান্তে সমর্থন দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত সম্প্রদায় এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের অধিকাংশেরই এইসব দেশে গাড়ি-বাড়ি, ব্যাঙ্ক-ব্যালেন্স রয়েছে। গোপনে/প্রকাশ্যে এই সব দেশের পাসপোর্ট বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট অনুমতিও রয়েছে অনেকের। অনেকেরই পরিবারের একটি অংশ নানা অজুহাতে ইতিমধ্যেই ওইসব দেশে বসবাস করছেন। দেশে যারা আছেন তারাও জীবনের শেষ দিনগুলোতে এইসব উন্নত দেশগুলোতে সপরিবারে বসবাস করার স্বপ্ন দেখেন। সে কারণে বৈধ ও অবৈধভাবে অর্জিত সমস্ত সম্পদ জড়ো করছেন এইসব দেশগুলোতে। মানবাধিকার ইস্যুতে এখন আমেরিকা ও কানাডা যাদের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তাদের মধ্যে যাদের ইতোমধ্যেই ঐ সমস্ত দেশে পরিবার বা সম্পদ রয়েছে, পাসপোর্ট, ভিসা, পিআর রয়েছে, তাদের জন্য এটি বড় আঘাত। এর ফলে আরও যে সকল কর্মকর্তার ওই দেশগুলোতে পরিবার ও সম্পদ রয়েছে এবং যারা উক্ত দেশগুলোতে জীবনের শেষ পরিণতি দেখতে চান, তাদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা অনেক পিক এন্ড চুজের বিষয় সামনে নিয়ে আসবে।’
আবদুর রব পাটওয়ারীর প্রশ্ন, ‘এটি কি বর্তমান সরকারের জন্য একটি লজ্জা এবং শিক্ষা নয়? যে লোকটিকে কানাডায় ঢুকতে দেয় নি, তাকে কি করে আমাদের দেশের সরকার এতো সহজে দেশ ত্যাগের সুযোগ দিল?’
কানাডার প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্যাম আহমেদ লিখেছেন, ‘কানাডার প্রেসিডেন্ট ও কানাডার সকল সম্মানিত জনগণকে বাংলাদেশের গণমানুষের পক্ষ থেকে আমি বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাই, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। সেই সাথে বিশ্বের সকল দেশের প্রতি বিনয়ের সহিত নিবেদন করছি যে, তাকে/তার মতো কাউকে কোন দেশে আশ্রয় দেওয়া না হয়।’
ইকবাল রনি লিখেছেন, ‘তার মানে এটাই প্রমাণিত হলো যে, ক্ষমতার অপব্যবহার, আওয়ামীলীগের শক্তি এবং এই নোংরা রাজনীতির পাওয়ার শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ! অবশেষে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।’
মুহাম্মদ রকিবুল ইসলাম রায়হান লিখেছেন, ‘ইসলাম নিয়ে কুটুক্তি করে কেউ কখনও পার পায় নি এবং ভবিষ্যতেও পাবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম নিয়ে যারাই অপপ্রচার করছে এবং যারা ইসলামের বাতি নিভাতে চেয়েছে, তারাই উভয় জাহানে নিজের ধ্বংস ডেকে এনেছে। আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। আর হ্যাঁ আল্লাহর ধরা বড়ই ভয়ংকর।’
এমডি তাইজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘ভাবতে অবাক লাগছে এটা ভেবে যে, একজন মানুষের মুখের কথাতেই যার সব ক্ষমতা চলে যায়! এই তুচ্ছ ক্ষমতার এতো বড়াই কিভাবে করে মানুষ? এই তুচ্ছ ক্ষমতা নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে, গণ্যমান্য মানুষের নামে উল্টো পাল্টা কথা বলে!’
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের পর এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে মুরাদের অশালীন বক্তব্যের অডিও ফাঁস হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।