Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে

টিআইবি’র আলোচনা সভায় অভিমত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:০০ এএম

দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের সোচ্চার হওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এখন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নানা ধরণের চাপ লক্ষ্যনীয়। বাক্স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে নানামুখী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার প্রসার দেখা যাচ্ছে। চাপ থাকলেও এমন পরিস্থিতি গণমাধ্যমের জন্য কাজের বড় সুযোগ। এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা : গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভার বক্তারা। আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে সংস্থাটি। সভার পাশাপাশি ২০২১ সালে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার স্বীকৃতি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
আলোচনায় অংশ নেয়া বৈশাখী টেলিভিশনের পরিকল্পনা পরামর্শক জুলফিকার আলী বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার সাহস দিন দিন কমে যাচ্ছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে বাইরের চাপ মেন আছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানের ভেতরের ও সাংবাদিকদের লোভ-লালসার দায়ও আছে।
অনলাইন পোর্টাল ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ বলেন, বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার প্রসার দেখা যাচ্ছে। চাপ থাকলেও এমন পরিস্থিতি গণমাধ্যমের জন্য কাজের বড় সুযোগ। একাত্তর টেলিভিশনের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর সুজন কবির বলেন, গণমাধ্যমগুলো প্রতিনিয়ত দুর্বল হচ্ছে বলে মনে করেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার যে রয়েছে সেটি মালিকপক্ষ এখন আর নিতে চায় না। গেøাবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটয়ার্কের (জিআইজিএন) রোভিং এশিয়া এডিটর মিরাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা না পেলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করা সম্ভব নয়।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুন বলেন, বহুমাত্রিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করা হলেও যারা নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আছেন, তাদের ওপর প্রতিবেদনের প্রভাব পড়ছে না। টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের সোচ্চার হওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এখন অনুসন্ধাœী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নানা ধরণের চাপ দেখা যাচ্ছে। বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আলোচনা সভায় টিআইবির পরিচালক শেখ মঞ্জুর-ই-আলম, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম হেল্প ডেস্কের প্রধান বদরুদ্দোজা বাবু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সভায় ‘বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিক: গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর জাফর সাদিক।
এবার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, সিলেট ভয়েস ডটকমের প্রতিবেদক শরীফ উদ্দিন, খুলনার দৈনিক পূর্বাঞ্চলের নিজস্ব প্রতিবেদক এইচ এম আলাউদ্দিন, প্রথম আলোর সাবেক নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ জায়িফ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার মুকিমুল আহসান, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘উন্মোচন’। জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি পারভেজ নাদির রেজা এবং রাইজিং বিডি ডটকমের প্রতিবেদক রফিকুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিআইবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ