পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাল্যবিবাহ রোধ করে কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় নিয়মিত কর্মশালা আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় অনুষ্ঠিত ‘কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালায়’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার বলেন, বাল্যবিবাহ কিশোরী মেয়েদের জীবন ও স্বাস্থ্যের প্রতি ঝুঁকি তৈরি করে। সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় এসব কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বাল্যবিবাহ রোধ, নারীর সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বহুমুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে যথাযথ আইন ও এর প্রয়োগ আছে। শিরীন শারমিন যোগ করেন, সরকার উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছে, যার মাধ্যমে পরিবার ও অভিভাবকদের নারীশিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীশিক্ষার বিস্তার ঘটেছে। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জায়গাটি প্রধানমন্ত্রী সুসংহত করেছেন। ঘরে-বাইরে নারীরা আজ প্রতিষ্ঠিত। বর্তমান যুগে মেয়েরা আর বোঝা নয়, তারা আমাদের সম্পদ।
স্পিকার বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে আইনি কাঠামোর পাশাপাশি দরকার সামাজিক সচেতনতা। এই সচেতনতা তৈরির জন্য এ ধরনের কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরি। কেননা, নারীরা আজ যথাযথ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দক্ষতার সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে। করোনাকালীন সময়ে নারীদের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা কাটিয়ে নারীদের এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার। স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাসান ইমাম খাঁনের সভাপতিত্বে ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে আম আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।