পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ভবিষ্যতে পিছা মার্কা আনমু, নৌকা মার্কা আনমু না’। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যানের কাছে হেরে এমন মন্তব্য করেন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউপি নির্বাচনে নৌকা মনোনীত প্রার্থী দ্বীন ইসলাম শেখ।
সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় দ্বীন ইসলাম শেখ কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলছেন, ‘আগামীতে মনোনয়ন লাগবে না, ভোটও চাওয়া লাগবে না। এমনিতে পাশ করবো ইনশাআল্লাহ। প্রয়োজনে পিছা মার্কা আনমু, নৌকা মার্কার মধ্যে আর নাই। নৌকা মার্কা না আনলে পাশ করবো নিশ্চিত’।
দ্বীন ইসলাম শেখ তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘ভোট যা হইছে বাদ, আজকে থেকে পেছনে কী হইছে সেটা দেখবো না। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি খালি সামনে দেখি। সামনে দেখবো, এগিয়ে যাবো। আজকে আমরা, চেয়ারম্যান হাইরা গিয়া মন খারাপ করছে অনেকে। ভাগ্য থাকলে তো আগামীবার উপজেলাও করতে পারি, কী বলেন? চেয়ারম্যানি নিয়া চিন্তা করার কিছু নাই। চাইলে আল্লারে পাওয়া যায়। এটা তো চেয়ারম্যানিই। কী বলেন? এবারও পারতাম, দুই-চারটা মরতো হয়তো। এই জন্য করি নাই। আগামীতে মনোনয়নও লাগবে না, ভোটও আপনাগো চাওয়া লাগবে না, এমনি আমরা পাস করুম ইনশাআল্লাহ’।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি স্বীকার করে দ্বীন ইসলাম শেখ বলেন, আমাদের ইউনিয়ন থেকে ১০ জন নৌকা চাইছিলাম, আমি নৌকা পাওয়ার পর বাকি নয়জনই আমার বিপক্ষে কাজ করেছেন। একজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি। নৌকার বিপক্ষে কাজ করা নেতা-কর্মীদের বিষয়ে জেলার নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। মনের কষ্টে তাই বলেছি কথাগুলো। স্থানীয়রা জনান, ভোটের আগে প্রতিপক্ষের শান্তিপূর্ণ প্রস্তুতি সভার উপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছিল পরাজিত দ্বীন ইসলামের অনুসারীরা। এ নিয়ে মামলাও হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হালদার বলেন, নির্বাচনে পাস ফেল থাকবে, তবে তার এ বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দলকে অবমাননা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসাদ বারেক বলেন, অনেক নেতাকর্মী আমার কাছে ভিডিওটি পাঠাচ্ছে। নৌকা প্রতীক নিয়ে এমন কথা বলা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। তিনি আমাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে কট‚ক্তি করেছেন। আমি আশা করি, উনি এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইবেন। এ বিষয়ে নেতাদের থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।