Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘বাবা নেই, কাকে নিয়ে বাঁচব’

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

‘আমার বাবার কি দোষ ছিল? তাকে কেন এভাবে চলে যেতে হলো। আমরা এখন কাকে নিয়ে বাঁচবো।’ এভাবে আহাজারি করছিলেন নগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কনস্টেবল মনির হোসেনের বড় মেয়ে মাহমুদা ফেরদৌস লিমা। গতকাল শনিবার চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে লিমা ও তার মা এবং ভাই বোনদের কান্নায় উপস্থিত সবার চোখ ভিজে যায়। মেঝ মেয়ে বিবি ফাতেমা বলছিলেন, আমরা এখন কীভাবে বাঁচবো। কে আমাদের সংসার চালাবেন। বাবার এমন চলে যাওয়া মানতে পারছেন না মনিরের সন্তানেরা। নগরীর ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় নিহত ওই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের পরিবারের থামছে না শোকের মাতম। স্বজনহারাদের দাবি এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর সাজা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ কনস্টেবল মনির ১৯৯৬ সালের ৮ জুন পুলিশে যোগদান করেন। সিএমপিতে যোগদান করেন ২০১৩ সালের ১৭ জুন। পুলিশের চাকরি জীবনে তিনি কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ৪৯ টি পুরস্কার পান।

দুর্ঘটনায় নিহত কলেজছাত্র সাতরাজ হোসেন শাহীনের বন্ধুরা জানান, তাকে নিয়ে তার পরিবারের অনেক স্বপ্ন ছিলো। সে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখত। কিন্তু সে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল শাহীন। কলেজে বিএনসিসি কার্যালয়ে যাচ্ছিলো সাতরাজ। যাওয়ার পথেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। চমেক হাসপাতালের লাশ ঘরের সামনে শাহীনের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। তার পিতা মুদি দোকানি। তাদের বাসা নগরীর হামজারবাগে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ