Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নাইটিংগেল মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ থেকে নিবন্ধিত কোনো মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশন চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরে মহাপরিচালককে এই আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন মিঠু। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ১৪ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে সাড়া না পাওয়ায় গত রোববার ওই মেডিকেল কলেজ থেকে নিবন্ধিত কোনো মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। তানজুম তাব্বাসুম, সানজিদা ইসলাম জ্যোতি, নওরিন ফারজানা সুপ্তা, সাবিহা সুলতানা ডায়না, সুমাইয়া ইসলাম সিমু, সুমনা আক্তার, হাজেরা খাতুন, ফেরদৌসি আক্তার তালুকদার, সোনিয়া ইসলাম আঁখি, রোকেয়া আক্তার লিজাসহ ৪৫ শিক্ষার্থী যৌথভাবে রিটটি করেন। দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেশনের দাবি জানিয়ে আসছেন নাইটিংগেল মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর ‘নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে বিপদে শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন ৬০ শিক্ষার্থী। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ও কর্তৃপক্ষের ওপর আর ভরসা রাখতে না পেরে এখন অন্য মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশন চায় তারা। ২০১৭-১৮ সেশনে ভর্তি হওয়া এ শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে চতুর্থ বর্ষে উত্তীর্ণ হলেও পাচ্ছিলেন না কোনো ক্লাস ও সময় মতো পরীক্ষার সুযোগ। চিকিৎসক না থাকায় রোগীশূন্য হাসপাতালটিতে হাতে-কলমে স্বাস্থ্যশিক্ষা সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করাও সম্ভব হয়ে উঠছে না তাদের।
নিয়ম অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ২০১৭ সালে দেশের ৯টি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই সময় কলেজগুলো উচ্চ আদালতে রিট করলে৬ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন আদালত। স্থগিত সময়ে কলেজগুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করে। তাদের মধ্যে কয়েকটি মেডিকেল কলেজ নির্দিষ্ট সময়ে শর্ত পূরণ করে বিএমডিসির তালিকাভুক্ত হলেও চার বছরেও রেজিস্ট্রেশন পায়নি সাভারস্থ আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা জানান, উচ্চ আদালতে আবেদন করে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ পেলে ওই সময়ের মধ্যে ২০১৭/১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ভর্তি করে নেয় তারা। হিসেব অনুযায়ী এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষার সময় হলেও, এখন পর্যন্ত নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ বিএমডিসির অনুমোদন পায়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ