পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে প্রতিবেশী দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আখাউড়া-আগারতলা রেলরুট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এটি দুই দেশের বাণিজ্যসহ সব ধরনের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান হাইকমিশনার বিক্রম কুমার। তিনি বলেন, এটি একটি বিশেষ বছর যখন ভারতের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী দু’জনই বাংলাদেশ সফর করছেন। ভারতের কাছে বাংলাদেশ খুবই ঘনিষ্ঠ দেশ। ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরে নিয়ে দুই দেশের ক‚টনীতিকরা কাজ করছেন বলেও জানান হাইকমিশনার।
কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলা করেও বাণিজ্য, ব্যবসা, পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন তিনি। কোভিড-১৯ মহামারির সময় মেডিক্যাল সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে ধন্যবাদ জানান বিক্রম কুমার। এ সময় হাইকমিশনার ১৯৭২ সালে তোলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বিরল ছবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। পাশাপাশি তিনি কিছু অডিও, ভিডিও এবং কিছু সংবাদপত্রের কাটিং পেন ড্রাইভে করে প্রধানমন্ত্রীকে দেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে জিম্মি দশায় থাকার সময় ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার বার্তার কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটি তাদের জন্য অনেক বড় সংবাদ ছিল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দিবে : বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেছেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাবে। মিয়া সেপ্পো গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাবো। শেখ হাসিনা বলেন, মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু তারা এখন সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। কিন্তু, তাদের উচিত এখন নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সব এনজিও বাংলাদেশে কাজ করছে সে সব এনজিও রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের নিজ দেশেও কাজ করতে পারে। বৈঠকে তারা কভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও আলোচনা করেন।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রত্যেক সরকারি চাকরিতে বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী বিজিবি এবং সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। জলবায়ু প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি তার দল ও সহযোগি সংগঠন গুলোও বিপুল সংখ্যক বৃক্ষ রোপণ অভিযান পরিচালনা করছে। মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশে তার অবস্থানের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।