পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরের মণিরামপুরে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পলাশী আদর্শ কলেজের পরীক্ষার্থীরা এ আন্দোলন করে। তাদের অভিযোগ, প্রবেশপত্র বাবদ ১৫০ টাকা টাকা করে চেয়েছেন শিক্ষকরা। টাকা ছাড়া প্রবেশপত্র দেয়া হচ্ছে না।
শিক্ষকদের দাবি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার (ফাইজার) টিকা দেয়ানোর সময় ইউএনও অফিসে কলেজকে টাকা দিতে হয়েছে। সেই টাকাসহ প্রবেশপত্র বাবদ ১৫০ টাকা করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। পলাশী আদর্শ কলেজ থেকে এবার তিন বিভাগে ১৮০ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গতকাল সকালে পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনতে কলেজে যায় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গতকাল কলেজে উপস্থিত ছিলেন না ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সন্তোষ কুমার মন্ডল। সকালে কলেজে গিয়ে প্রবেশপত্র না পেয়ে মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী খলিলুজ্জামান অধ্যক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে। এ সময় ওই পরীক্ষার্থী টাকা নেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, টাকা কেনো নিচ্ছি সেটা ইউএনও বলতে পারবেন। পারলে সেখানে গিয়ে জেনে এসো। অধ্যক্ষর সাথে ওই পরীক্ষার্থীর কথোপকথনের অডিও রেকর্ড এ প্রতিবেদকের কাছে এসেছে।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হয়েছে অধ্যক্ষকে। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে প্রবেশপত্র বাবদ টাকা নেয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন কলেজের শিক্ষক মোশারেফ হোসেন। তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়ানোর সময় কলেজের কিছু খরচ হয়েছিলো। প্রবেশপত্র দেয়ার সময় সেই খরচ ধরে আমরা ১৫০ টাকা করে চেয়েছি। মোশারেফ হোসেন বলেন, উপজেলায় টিকা দেয়ানোর সময় যশোর থেকে যারা টিকা দিতে আসে গাড়িতে করে এসেছেন তাদের যাতায়াত খরচসহ সব আয়োজন করতে খরচ হয়েছে। ইউএনও বলেছেন, এ খরচ কলেজকে বহন করতে হবে।
এদিকে শাওন হোসেন নামে কলেজের এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমরা টাকা চাওয়ার বিষয়টি ইউএনওকে মোবাইলে জানিয়েছি। তিনি লিখিত অভিযোগ করতে বলেছেন। এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, কলেজে টাকা নেয়ার বিষয়ে আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে। আমি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। ইউএনও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যারা উপজেলায় টিকা দিতে এসেছেন তাদের মাইক্রো ভাড়াসহ সব আয়োজন করে দিতে হয়েছিলো কলেজদেরকে। এ বিষয়টা আমি জানি। যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্রো বলেন, প্রবেশপত্র বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেয়ার সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।