পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কাফরুল এলাকা থেকে এএসপি পরিচয়ে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ। তার নাম মো. রাজ আল আবির।
গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের এসি মো. মাহফুজুর রহমান জানান, একজন ভুয়া এএসপি কাফরুল থানার পূর্ব শেওরাপাড়ার অরবিট গলির একটি বাসায় অবস্থান করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ওই বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বাসা থেকে প্রতারক চক্রের সদস্যরা পালানোর সময় একজনকে আটক করা হয়। আটকের পর তার কাছ থেকে একটি পিস্তলসদৃশ মেটালিক লাইটার, দুটি পিস্তলের কাভার, বিভিন্ন ব্যাংকের ৯টি এটিএম কার্ড, রাজ আল আবির নামের ভুয়া এএসপির ৩০টি ভিজিটিং কার্ড ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবির জানান, তিনি ভুয়া ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে এএসপি পরিচয় দিতো । মাদককারবারিদের ধরে এনে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতো। বিরোধপূর্ণ জমি ও ফ্ল্যাটের বিরোধ মীমাংসার কথা বলে উভয়পক্ষের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। আবির উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো। এএসপি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে ফ্রিজ, টিভিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বাকিতে কিনে টাকা পরিশোধ করতো না।
এসি মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আবির মিথ্যা পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করেন। পরে মেয়েটিকে জোরপূর্বক চট্টগ্রাম থেকে অপহরণ করে ঢাকার শেওড়াপাড়ায় একটি বাসায় আটকে রেখে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এ সংক্রান্ত ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রামের খুলশী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাও হয়। তার বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।