পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে প্রতিবাদী বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ (রোববার)। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এ রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।
গতকাল শনিবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ বলেন, আবরার হত্যা একটি আলোচিত ঘটনা। মামলাটিও আলোচিত এবং স্পর্শকাতর। ২৮ নভেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য রয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার সব সাক্ষীর তথ্য উপাত্ত দাখিল করেছি। আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আদালতে উপস্থাপন করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে মামলাটি প্রমাণ করতে পেরেছি। তাই আমরা সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হবে- মর্মে আশাবাদী।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই আশা করছেন সব আসামি বেকসুর খালাস পাবে। আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেছি। সকল তথ্য-প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেছি। বলেছি, এই তিন আসামি আদালতে কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নি। হত্যাকান্ডের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
মামলার রেকর্ড থেকে জানাযায়, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। তিনি বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এস এম মাহমুদ নেতৃ ও মোস্তবা রাফিদ। চার্জশিট ভুক্ত আসামিদের মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ এখনও পলাতক। মামলার মোট সাক্ষী ৬০ জন। হত্যাকান্ডের ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।