পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মীরসরাই উপজেলার সোনাইছড়া পানি প্রকল্পের সেচ সুবিধায় প্রায় ৮০ হেক্টর কৃষি জমিতে রবিশষ্য চাষ ও ২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে। প্রকল্পে ৩০ ফুট গভীরের প্রায় ১০ একরের একটি লেক রয়েছে। যেখানে বর্ষাকালে পানি আটকে রাখা হয়, শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ করার জন্য। জানা গেছে, ২০০৬ সালে উপজেলার ১২ নম্বর খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের ৫, ৬, ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাড়ে ৬০০ কৃষকদের নিয়ে সোনাইছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ গঠিত হয়।
কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, নিজেদের সঞ্চিত অর্থ থেকে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয় সমিতি থেকে। বিগত কয়েক বছর আগেও বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢল পূর্ব পোলমোগরা গ্রাম প্লাবিত হতো। কৃষকদের ফসল নষ্টের পাশাপাশি পুকুরের মাছ ঢলে ভেসে যেতো। পরবর্তীতে সোনাইছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি পাহাড়ের পাদদেশে একটি বাঁধ নির্মাণ ও সুইচ গেইট স্থাপনের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করেন। এলজিইডি ২০০৬ সালে ৪২ শতক জমি অধিগ্রহণ করে ও সোনাইছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। ৫২ শতক জমিতে প্রায় ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডি বারোমাসি সোনাইছড়ার মুখে বাঁধ নির্মাণ ও পানি আটকানোর জন্য রেগুলেটর স্থাপন করে। একই সাথে সাড়ে ৩ কিলোমিটার খাল সংস্কার করা হয়। ২০১৮ সালে বাঁধ নির্মাণ ও রেগুলেটর স্থাপনের কাজ শেষ হয়।
উপজেলার ১২নং খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের ৩৭নং ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান বলেন, খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের ৫, ৬, ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আগে বোরো চাষ হতো না। সোনাইছড়ি পানি প্রকল্পের কারণে বিগত বছর ১০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। চলতি বছর ২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া লেকের পানি দিয়ে রবিশষ্য সিসিঙ্গা, ঝিঙ্গা, লাউ, বরবটি, ধুন্দল, চিনাবাদাম চাষ করা হচ্ছে। প্রকল্পের পানি দিয়ে বোরো চাষ, আউশের বীজতলা প্রস্তুত, রবিশষ্যসহ প্রায় ১০০ হেক্টর কৃষি জমি চাষের আওতায় এসেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সোনাইছড়া পানি প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে। সোনাইছড়া ঝর্ণার রাস্তার উন্নয়ন ও ৩টি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে বলে জানান তিনি। সোনাইছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড ও বারৈয়ঢালা ন্যাশনাল পার্ক নির্বাহী কমিটির সভাপতি সরওয়ার উদ্দিন বলেন, সোনাইছড়া ঝর্ণা থেকে অল্প সময়ে খৈইয়াছড়া ঝর্ণা ও নাপিতছড়া ঝর্ণায় যাওয়া যাবে। পর্যটকদের যাতায়াতে সুবিধার্থে রাস্তা সংস্কার ও ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। পর্যটকদের জন্য বাথরুম নির্মাণ ও রেস্ট হাউজসহ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলে এখান থেকে সরকার প্রচুর রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।