পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকের আমন ফসল উৎপাদন ভালো হয়েছে। সরকার আমন ধান ও চালের যৌক্তিক দামও নির্ধারণ করেছে। আমন সংগ্রহে সংশ্লিষ্টদের গা ছাড়া ভাব বরদাশত করা হবে না। এসময় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাদেরকে আরো মনোযোগী হতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ অভিযান ২০২১-২২ এর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, যে সকল জেলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকিউরমেন্ট শতভাগ অর্জিত হবে, প্রয়োজনে তাদের আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে। যে সকল জেলায় লক্ষমাত্রা অর্জন হবে না তাদের জবাবদিহি করতে হবে। উত্তরাঞ্চলকে শষ্যভান্ডার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চল থেকে বেশি ধান সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। ধান-চাল সংগ্রহকালে কোন কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন হয়রানির শিকার না হয় সেটিও নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী। মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ধান চালের অভাব নেই। বিগত সময়ে ২৯ লাখ মেট্রিক টন আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানি হয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন। এই সময়ে দেশে চালের অভাব হয়নি। এতে প্রমাণ হয় চালের যথেষ্ঠ মজুত থাকা সত্তে¡ও কেউ কেউ চালের মজুদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
তিনি বলেন, মিল মালিকদের শুধু লাভের কথা চিন্তা করলেই হবেনা. ভোক্তার দিকেও নজর রাখতে হবে। এসময় তিনি মিল মালিকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহযোগী হওয়ার আহবান জানান। জানুয়ারি মাসের মধ্যে আমন সংগ্রহ সম্পন্ন করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাগণকে তৎপর হওয়ার আহবান জানান। এখন আবহাওয়া অনুকূলে আছে। এখনই প্রকিউরমেন্ট জোরদার করতে হবে। কোনভাবেই গাছাড়া ভাব বরদাস্ত করা হবে না। অবৈধ মজুতদারীর বিরুদ্ধে মনিটরিং জোরদার হবে। ফুড গ্রেড লাইসেন্স ছাড়া কেউ খাদ্য শষ্য মজুদ করতে পারবে না। ফুড গ্রেড লাইসেন্সধারীকে পাক্ষিক ক্রয় বিক্রয়ের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এর সভাপতিত্বে সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। এছাড়া খাদ্য অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক,খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিকগণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।