Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পিপলস লিজিং চালু করতে বিশেষ নিরীক্ষা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (পিএলএফএসএল) কার্যক্রম আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির আর্থিক বিবরণী বিশেষ নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশন সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনা মোতাবেক গত সোমবার আদালত কর্তৃক পিপলস লিজিং ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা হয়। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিএসইসি বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে পিএলএফএসএলের ২০১৩ থেকে ২০২১ সালের সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত ও অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী ও অন্যান্য কার্যক্রমের ওপর বিশেষ নিরীক্ষা কর্যক্রম পরিচালনা করবে।
একই সঙ্গে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক এবং পিএলএফএসএলের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনাপ‚র্ব আর্থিক পুনর্গঠনের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে কোম্পানির কার্যক্রম চালু করতে কমিশন থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে অনিয়ম দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় চরম সংকটে থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানিটি অবসায়নের উদ্যোগ নিলে শেয়ারহোল্ডাররা আতঙ্কে পানির দরে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করেন। কিন্তু দফায় দফায় দাম কামানোর পরও বিক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ পরিস্থিতিতে কারসাজির শঙ্কায় কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পর্ষদ। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ রয়েছে।
১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিপলস লিজিংকে অবসায়নের পক্ষে সম্মতি দেয় সরকার। এরপর আদালতের আদেশে নিযুক্ত হন অবসায়ক।
পিপলস লিজিং থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়া ১২৯ জনের মধ্যে বিদেশে পলাতক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার একজন। তালিকায় তার নাম উঠে এসেছে পাঁচবার। তিনি একাই পৃথক চারটি কোম্পানি ও নিজের নামে ২৫৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৩ টাকা ঋণ নিয়েছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ