পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি। আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশন ও জার্মান উন্নয়ন সংস্থা এফইএস, বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে 'বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন: জার্মানির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা' শীর্ষক পলিসি পেপার উপস্থাপন অনুষ্ঠানে একথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। উপমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০০৯ সাল থেকেই দেশের কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে কারিক্যুলাম পরিবর্তন, শিল্পের চাহিদা অনুসারে কার্যকর ও বিষয়ভিত্তিক কোর্সের সংখ্যা বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। তবে এখনো দেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার আরো উন্নয়ন করা প্রয়োজন বলেও স্বীকার করেন তিনি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন এনডিসি। অনুষ্ঠানে পলিসি পেপার উপস্থাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলীলী।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন এনডিসি বলেন, বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে আন্তরিক। বর্তমানে ৬৪টি জেলায় সরকারের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকার প্রথম ধাপে ১০০টি উপজেলায় এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩২৯টি উপজেলায় তা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে বিদ্যমান সব কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান ভালো নয় স্বীকার করে তিনি বলেন, এজন্য দেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে রেটিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেই জাতীয় মান কাঠামো অনুসরণ করে মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করারও আশ্বাস দেন তিনি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও শিল্প মালিকদের চাহিদা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারিক্যুলামের মধ্যে এখনো অনেক দূরত্ব রয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, খরচ কমাতে শিল্প মালিকরা যেমন দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ দিতে চাননা, তেমনি কারিগরি শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তবে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে এবং শিল্পের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে প্রয়োজন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশীপ ও ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়ানো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।