Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষা খাতে আর্থিক বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন

গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যে সিলেবাস রয়েছে এর মধ্যে আরো ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদেরা। তারা মনে করছেন শিক্ষাকে বিশ্বমানের এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করতে আগামীর শিক্ষা খাতে আর্থিক বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। তাহলে আমাদের দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য সবকিছুর উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। এতে দেশের জ্ঞান-বিজ্ঞানে, বাণিজ্যে উন্নয়ন হবে।

গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ (আইপি) টিভি আয়োজনে ‘আগামীর বাংলাদেশ: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জাগরণ আইপি টিভি’র প্রধান সম্পাদক এফএম শাহীনের সঞ্চালনা এবং বিবার্তা২৪ডটনেট সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি’র সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নত ছিল। এই শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। কিন্তু পরবর্তীতে এই ইতিহাস নষ্ট করার চক্রান্ত করা হয়েছিল। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। বাংলাদেশে ১৩ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। এছাড়া বাঙালি সংস্কৃতি নষ্ট করে ইংরেজি সংস্কৃতি ধারণ করা হচ্ছে। এই সংস্কৃতিকে দূর করে এক মুখী শিক্ষা ব্যবস্থাকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করতে তুলতে হবে।
গোল টেবিলে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশ গড়ার ভাবনা করেছিলেন। যুদ্ধের পর সীমিত সম্পদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা হয়েছিলো। সেসময়ে আঘাতটা শিক্ষা উপরও এসেছিলো। এরপর বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে প্রাইমারি, হাইস্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থার অধঃপতন ঘটেছিলো। মেধাহীন শিক্ষকদের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আমরা আজ বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছি। জ্ঞান চর্চার মধ্যে স্বাধীনভাবে চিন্তা, বক্তব্য উপস্থাপন, স্বাধীনভাবে সিলেবাস তৈরি করে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে মিলিয়ে শিক্ষাকে আবহমান সংস্কৃতির সাথে নিয়ে আসার জন্য ’৭৩ এর আইন। সেটা হচ্ছে কিন্তু এর পাশাপাশি আমরা পত্র-পত্রিকায় নানা ধরণের খবরে দেখি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের বিত্ত বৈভব অর্জনের অপচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত দেয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে ’৭৩-এর অধ্যাদেশ ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রশাসনিক ক্ষমতার জন্য, আর্থিক বিষয়ে কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশে ফাইনান্সিয়াল ল’ রয়েছে। এসব আইনের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করছি। এসব অসঙ্গতি দূর করাই বড় বাধা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী বলেন, পিএসসির মাধ্যমে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া যায়, তাহলে স্বচ্ছতা আসবে। এটা হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৯০ ভাগ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। নিয়োগ এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে যদি ভাইস চ্যান্সেলরদেরকে বাইরে রাখা য়ায় তাহলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ