Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিথ্যা তথ্যে সঞ্চয়পত্র কিনলে দন্ড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

 মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় সঞ্চয়পত্র কিনলে দন্ডের নির্দিষ্ট বিধান রেখে ‘সরকারি ঋণ বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে ১৫ দিনের মধ্যে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

খসড়া এই আইনে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি নিজের বা অন্য কারো পক্ষে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের জন্য কোনো মিথ্য তথ্য দেন তবে তার সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে জরিমানা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। ১৯৮৮ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে প্রণয়নের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।
সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর জন্য অধিকতর আধুনিক প্রক্রিয়ায় ঋণ সংগ্রহ, টেকসই ঋণ নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ঋণ কৌশলপত্র প্রস্তুত, ঋণের ঝুঁকি নিরূপন ও সরকারের দায় হিসাবায়নের পথকে অধিকতর স¤প্রসারণ করার লক্ষ্যে খসড়া আইনটি আনা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত মিথ্য তথ্য সম্পর্কিত সংঘটিত অপরাধ আমলে নিতে পারবে না। কোনো সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের সার্টিফিকেটে মেয়ারপূর্তির পর আসল ও মুনাফা দিয়ে দেওয়ার পর এ বিষয়ে সরকারের আর কোনো দায় থাকবে না।
সরকারি সিকিউরিটির ধারক কোনো প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে বা অবসায়ন হলে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিযুক্ত প্রশাসক সিকিউরিটির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে বিধান রাখা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার সরকারি সিকিউরিটি নিয়ম মেনে হস্তান্তর করার পর ওই ব্যক্তিকে সিকিউরিটির আসল বা সুদের বিষয়ে দায়ী করা যাবে না।

সরকার বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে অর্থায়ন বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত বা দেশি বা বিদেশি মুদ্রায় গৃহীত সুদ বা মুনাফা যুক্ত বা সুদ বা মুনাফা মুক্ত-যে কোনো প্রকারের ঋণ ও বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে পারবে।
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরকার যে ঋণ নেবে তার যথাযথ গ্যারান্টি এই বিলের মাধ্যমে থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। খসড়া আইনে সরকারি ঋণ অফিসগুলোর ভূমিকা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। শরিয়াভিত্তিক সরকারি সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্বাভাবিক ডিপোজিট ব্যবস্থার পাশাপাশি শরিয়াভিত্তিক ডিপোজিট ব্যবস্থা সুকুক এই আইনের অধীনে আনা হয়েছে। এটা আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলার দিয়ে চালু করা হয়েছিল।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ