পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতিসংঘ বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে বরাবরের মতো আগামীতেও সর্বদা সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিদায়ী আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। সাক্ষাতকালে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, করোনাকালীন অর্থনীতি ও এর পুনরুদ্ধার, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা অর্জনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়াও ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশে উন্নতি হবে বলেও দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিগত এক দশকে গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হারে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এমনকি করোনা মহামারির সময় গত বছর যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকোচন হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভার টেকসই উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২১-এ বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি প্রদানে প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রগ্রেসেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন।
এ দিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নারীর কর্মস্থান ও ক্ষমতায়নের প্রশংসা করে, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো আশা ব্যক্ত করেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের সাথে জাতিসংঘের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের দীর্ঘ কূটনৈতিক সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জাতিসংঘ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও মিয়া সেপ্পা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে চার বছরের কর্মকাল তার জীবনে উজ্জ্বল স্মৃতি হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করে, তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ দিকে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইলি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তীতে বাংলাদেশের জন্য প্রদত্ত বাণিজ্যিক অগ্রাধিকার সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সর্ববৃহৎ গন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশ বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষনীয় স্থান। বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম আস্থাশীল অংশীদারে পরিণত হয়েছে।
এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইলি বলেছেন, বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের প্রতি ইইউয়ের সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।