পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজ দেশের বিক্ষুব্ধ জনতাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। দেশের বিদ্রোহীদের ‘শত্রু’ আখ্যা দিয়ে তার অনুগত সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রক্তের বিনিময়ে হলেও তাদের মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির টাইগ্রে অঞ্চলে বঞ্চনার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও নির্মম অভিযান চালানোর পর বিদ্রোহীরা ঘুরে দাঁড়িয়ে রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে অস্ত্র তুলে নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আবি।
এই আবি আহমেদ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সীমান্তবিরোধ নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রাখার জন্য ২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তাকে পুরস্কার দেওয়ার সময় বলা হয়েছিল, এই স্বীকৃতি তাকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শান্তির দূত হিসেবে ভূমিকা রাখার সুযোগ দেবে। তবে একজন অপরীক্ষিত রাজনীতিকের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়ার পর তার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ তাকে বিশ্বের কাছে রক্তপিপাসু নেতা হিসেবে আবির্ভূত করেছে।
আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল এবং একটি ফেডারেল ডেমোক্রেটিক দেশ ইথিওপিয়া। তাদের একটি প্রাদেশিক অঞ্চল টাইগ্রে। এই অঞ্চলে সক্রিয় স্বাধীনতাকামী টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট। আঞ্চলিক সরকারে তাদের প্রভাব রয়েছে। অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সোচ্চার এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। তবে টাইগ্রের এই গোষ্ঠীর ওপর যতই নির্যাতন বাড়িয়েছেন আবি, ততই তাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। অবশেষে টাইগ্রের লিবারেশন ফ্রন্টের সঙ্গে কয়েকটি বিরোধী দল যুক্ত হয়ে আবিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে এখন রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিদ্রোহীদের রুখে দেওয়ার তাগিদ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও সর্বস্তরের জনগণকে অস্ত্র তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন ‘কুখ্যাত’ শান্তির দূত আবি। তার কারণেই নিজ দেশের দু’পক্ষের মানুষের মধ্যে এখন রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। গতকাল আদ্দিস আবাবায় আবির পক্ষে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, আফ্রিকান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ দু’পক্ষকে অস্ত্রবিরতি করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেও পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, হত্যা- গণহত্যার বড় ঝুঁকিতে রয়েছে ইথিওপিয়া। এ অবস্থায় নিজেদের নাগরিকদের দেশে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইথিওপিয়ায় আবি সরকার ও তার বিরোধী পক্ষ উভয়েই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ ছাড়া আবির অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, গুম, খুনের অজস্র প্রমাণ রয়েছে। জাতিসংঘের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘাতের কারণে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে ইথিওপিয়ার চার লাখের বেশি মানুষ।
এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের হত্যার নির্দেশ দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হচ্ছেন তিনি। তার ওই ঘৃণ্য পোস্ট ফেসবুক মুছে ফেলেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।